বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলেছিলেন আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু, দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি তিনি, সেই ক্ষোভটা হয়তো জমা ছিল মনে।
আর সেটার বহি:প্রকাশ দেখা গেলো কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রথম ম্যাচে। ইডেন গার্ডেনে রীতিমতো কালবৈশাখী ঝড় বইয়ে দিলেন, অথচ বাংলা পঞ্জিকাতে এখনো বৈশাখ আসেনি।
এদিন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে মাত্র ২৫ বল খেলেছেন এই হার্ড হিটার, তাতেই করেছেন ৬৪ রান। তিন চারের বিপরীতে সাত সাতটি বিশাল ছক্কা এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে; স্ট্রাইক রেট স্বাভাবিকভাবেই আকাশ ছুঁয়েছে, সংখ্যার হিসেবে সেটা ২৫৬!
তাঁর এই অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ের কল্যাণে ২০৮ রান করতে পেরেছে কলকাতা। চলতি আইপিএলে এবারই প্রথম কোন দল ২০০ রানের গণ্ডি পেরুতে পারলো।
উইন্ডিজ তারকা যখন মাঠে আসেন তখন অবশ্য পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। তাঁর দল তখন ১১৯ রানে ছয় উইকেটের হারিয়ে খাদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েছিল।
মাঝারি মানের সংগ্রহ সেসময় দূরের স্বপ্ন মনে হচ্ছিলো, কিন্তু তাঁর ভাবনায় ছিল অন্য কিছু। শুরু থেকেই সেজন্য তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করেছেন প্রতিপক্ষের বোলিং লাইনআপের ওপর। মায়াঙ্ক মারকান্দের এক ওভারেই মেরেছেন তিনটি ছয়!
ডানহাতি এই ব্যাটারের উত্তাপ সবচেয়ে বেশি টের পেয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। ডেথ দুই ওভার বোলিং করে দুই ওভারেই দুই হাতে রান বিলাতে হয়েছে তাঁকে।
ফলাফল, শেষ পাঁচ ওভারে ৮৫ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিল শ্রেয়াস আইয়ারের দল। বিশতম ওভার বাদ দিলে বাকি চার ওভারে এসেছে ৭৭ রান, ওভারপ্রতি ১৯ এর বেশি! এই অতিমানবীয় গতিতে রান তোলার পিছনে ক্যারিবীয় তারকার উপস্থিতিই সবচেয়ে বড় কারণ।
সাম্প্রতিক সময়ে আন্দ্রে রাসেল পুরোপুরি ছন্দে ছিলেন না। নিজের সেরা রূপে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছিলো না অনেকদিন। তবু শাহরুখ খানের ফ্রাঞ্চাইজি ভরসা রেখেছিল তাঁর ওপর; তাঁকে ঘিরেই পরিকল্পনা সাজিয়েছিল দলটি। সেই ভরসার প্রতিদান প্রথম ম্যাচেই দিলেন তিনি। এবার শুধু ধারাবাহিক হওয়ার পালা।