স্নায়ুচাপ সামলে উত্তাল ইডেনে কেকেআরের জয়

আন্দ্রে রাসেল বনাম হেনরিখ ক্লাসেন - কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ম্যাচ রূপ নিয়েছিল দুই পাওয়ার হিটারের লড়াইয়ে।

আন্দ্রে রাসেল বনাম হেনরিখ ক্লাসেন – কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ম্যাচ রূপ নিয়েছিল দুই পাওয়ার হিটারের লড়াইয়ে। রোমাঞ্চকর এক লড়াই শেষে হাসিটা অবশ্য হেসেছেন রাসেল। তাঁর অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে চার রানের জয় পেয়েছে শ্রেয়াস আইয়ারের দল।

আগে ব্যাট করতে নেমে কলকাতার শুরুটা একদমই ভাল হয়নি। মেক শিফট ওপেনার সুনীল নারিন ফিরে যান মাত্র দুই রান করে; তিন নম্বরে নামা ভেঙ্কাটেশ আইয়ার করেন মোটে সাত রান, অধিনায়ক শ্রেয়াস তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। চার ওভারের মাঝে তিন উইকেট হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়ে যায় দলটি, যদিও ওপেনার ফিল সল্ট একপ্রান্ত আগলে রাখেন।

নীতিশ রানা সঙ্গ দিতে না পারলেও রামানদ্বীপ সিংকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন তিনি। ৩৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই ইংলিশ ব্যাটার। কিন্তু ৫৪ রান করেই থেমে যান তিনি। এরপরের গল্পটা শুধুই আন্দ্রে রাসেলের, উইন্ডিজ তারকার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্রেফ খড়কুটোর উড়ে যায় প্রতিপক্ষের বোলিং লাইনআপ।

মাত্র ২০ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি, শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে করেন ২৫ বলে ৬৪ রান। এছাড়া রিংকু সিংয়ের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। তাতেই ২০৮ রানের বিশাল সংগ্রহ জমা হয় স্কোরবোর্ডে।

জবাবে হায়দ্রাবাদের দুই ওপেনার চেষ্টা করেছেন দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে। তাই তো প্রথম পাঁচ ওভারে ৫৮ রান তোলেন তাঁরা। ষষ্ঠ ওভারে মায়াঙ্ক আগারওয়াল আউট হলে ব্রেক থ্রু পায় স্বাগতিক দল। খানিক পরে অভিষেক শর্মাও থামেন, দ্রুত দুই উইকেট হারানোর চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি প্যাট কামিন্সের দল। রাহুল ত্রিপাঠী উল্টো ২০ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে দলের পরাজয় ত্বরান্বিত করেছেন।

এইডেন মার্করাম, আবদুল সামাদরা সেট হয়েও প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে হেনরিখ ক্লাসেন চেষ্টা করেছেন অসম্ভব একটা কিছু করে দেখানোর। সেই চেষ্টা করতে গিয়ে রীতিমতো অবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছেন তিনি, শাহবাজ আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে তুলোধুনো করেছেন কলকাতার বোলাররদের।

তিন ওভারে যখন প্রয়োজন ছিল ৬০ রানের তখন বরুণ চক্রবর্তী আর মিচেল স্টার্কের দুই ওভার থেকে যথাক্রমে ২১ ও ২৬ রান আদায় করেন এই দু’জন। প্রোটিয়া উইকেটকিপার সেসময় কেবল ছক্কা হাঁকিয়েছেন। কিন্তু শেষটাতে এসে আর পারেননি। আউট হয়েছেন ৬৩ রান করে, তাঁর দলও থেমেছে জয় থেকে মাত্র চার রান দূরে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...