সিলেটে হয়েছে ভরাডুবি। প্রস্তুতির দোহাই দিয়ে অন্তত বাংলাদেশ পার পেয়ে যাওয়ার চেষ্টাই করবে। তবে ব্যাট হাতে যে করুণ সময় পার করেছে গোটা দল, তা রীতিমত ব্যাখ্যাতীত। সেসব ভুলে নিশ্চিতরুপে চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সাকিব আল হাসান ফিরছেন বলেই যে দল হচ্ছে আরও খানিকটা উজ্জীবিত।
তবে সাকিবের ফেরায় প্রশ্ন জেগেছে একাদশ নিয়ে। দ্বিতীয় টেস্টের জন্যে তাওহীদ হৃদয়ের পরিবর্তে স্কোয়াডে এসেছেন সাকিব। অপরিবর্তীত স্কোয়াড থেকে স্রেফ সাকিব একাদশে ডুকবেন সেটা নিশ্চিত। প্রশ্নটা হচ্ছে, ঠিক কার জায়গায় ঢুকবেন তিনি?
বিগত টেস্ট বিবেচনায় বোলিং ইউনিটে পরিবর্তন আনার তেমন কোন কারণ নেই। বোলাররা নিজেদের কাজটা বেশ ভালভাবেই করেছেন। অন্যদিকে সাকিবের সংযুক্তি মানেই একজন বোলারও যুক্ত হওয়া। সেদিক বিবেচনায় চট্টগ্রামের ব্যাটার বান্ধব উইকেটে একজন বাড়তি বোলার নিয়ে খেলতে চাইতেই পারে বাংলাদেশ।
তবে তেমনটি করতে গেলে ব্যাটারের সংখ্যা কমে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। আর সিলেটে ব্যাটারদের হতশ্রী পারফরমেন্সের পর বাংলাদেশ তেমন সিদ্ধান্তও নিতে চাইবে না নিশ্চয়ই। এসব কিছু বিবেচনায় হয়ত তিন স্পিনার ও দুই পেসার নিয়ে একাদশে সাজাতে চাইবে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।
সেদিক থেকে ‘ওয়ার্কলোড’ বিবেচনায় শরিফুল ইসলামকে অন্তত বিশ্রাম দেওয়া যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে বোলিং আক্রমণের বৈচিত্র্যে পড়বে ভাটা। তা বিবেচনায় খালেদ আহমেদকে বাদ রেখে একাদশ হয়ত সাজাতে চাইবে বাংলাদেশ। তরুণ নাহিদ রানার গতি যে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের ভালই ভুগিয়েছে। তার যে আরেকটা সুযোগ প্রাপ্য।
খালেদের পরিবর্তে সুতরাং একাদশে যুক্ত হতে পারবেন সাকিব আল হাসান। অন্যদিকে আরও একটি পরিবর্তন হয়ত আসতে পারে বাংলাদেশের টপ অর্ডারে। জাকির হাসান সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তার বদলে স্কোয়াডে থাকা সাদমান ইসলামকেও হয়ত দেখা যেতে পারে একাদশে। তবে সে সম্ভবনাও খুব একটা প্রবল নয়।
অন্তত পরিস্থিতি বলছে সাকিবের অন্তর্ভূক্তিতে একটু বিপাকেই পড়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। রীতিমত কঠিন এক সিদ্ধান্তই নিতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। অতিরিক্ত একজন বোলার নিয়ে খেলতে চাইলে আদর্শ হতে পারে শাহদাত হোসেন দীপুর পরিবর্তে সাকিবের সুযোগ পাওয়া। তবে সেক্ষেত্রে দীপুর সম্ভাবনাময় যাত্রাও প্রভাবিত হতে পারে।
কিন্তু দিনশেষে পাঁচ বোলারের দিকেই হয়ত ঝুকবে বাংলাদেশ। যেহেতু শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং অর্ডারে ডানহাতি ব্যাটারদের আধিক্য, সেহেতু শরিফুল, তাইজুল দুইজনও খেলবেন, সাথে থাকবেন সাকিব। অন্যদিকে নাহিদ রানাকে হয়ত আরও একটি সুযোগ দিতে চাইবে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।
বাংলাদেশের একাদশ (সম্ভাব্য): জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, শাহাদাত হোসেন দীপু, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, নাহিদ রানা।