অভিষেকেই বাজিমাৎ পেস বলের নতুন সেনসেশন মায়াঙ্ক যাদব। ২১ বছর বয়সী ভারতীয় এই বোলার তাঁর গতির ঝড় দিয়ে নজর কাড়েন সবার।
চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপএল) পাঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হয় লখনৌ সুপার জায়ান্টস। লখনৌ সেই ম্যাচে জয় পায় ২১ রানে। তবে ম্যাচ শেষে সবার মুখে একটাই নাম, মায়াঙ্ক যাদব। তিনি ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৬.৭৫ স্ট্রাইক রেটে ২৭ রান দিয়ে উইকেট নেন ৩টি। জেতেন প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কার।
সবকিছু ছাপিয়ে সবার নজর তাঁর বোলিংয়ের গতির দিকে। সেই ম্যাচে প্রতি ঘন্টায় ১৫৫.৮ কিলমিটার গতিতে শিখর ধাওয়ানকে বল করেন। যা এবারের আইপিএলের আসরের সর্বোচ্চ গতির বল। লখনৌয়ের এই পেসার গড়ে বল করেন প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে।
শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন তিনি বলেন যে ছোটবেলায় তাঁর বাবা তাঁকে মিচেল জনসন, ডেল স্টেইন, মরনে মর্কেলদের বোলিংয়ের ভিডিও দেখাতেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা ফাস্ট বোলারদের পছন্দ করতেন।’ আর সেখান থেকেই তিনি পান গতি দিয়ে বল করার অনুপ্রেরণা।
মায়াঙ্ক তাঁর গতি সম্পর্কে বলেন, ‘বোলিংয়ে গতিটা আমার স্বাভাবিকভাবেই আসে। আমি এতে কোনো বাড়তি চাপ দেই না। বরং আমি চেষ্টা করি ধারাবাহিকভাবে বল করে যাওয়ার। দলের জয়ে ভূমিকা রাখার।’
ব্রেট লি আর ডেল স্টেইনের মত কিংবদন্তিদের প্রশংসায় ভাসছেন মায়াঙ্ক। আর তাদের প্রশংসাই মায়াঙ্কের প্রতিভাকে চিহ্ণিত করে।
বর্তমান সময়ের অন্যান্য পেসারদের মতোই মায়াঙ্ক ভারতীয় সুপারস্টার জাসপ্রতি বুমরাহ থেকেও অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন। এমনকি তাঁকে রোল মডেল হিসেবেও মনে করেন মায়াঙ্ক। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জাসপ্রিত বুমরাহর থেকে অনেক অনুপ্ররণা নিই। সে ভারত এবং বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। তাঁর কাছ থেকে যতটা সম্ভব শেখার চেষ্টা করবো।’
ইংলিশ বোলার স্টুয়ার্ট ব্রড তো ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথকে ক্ষুদে বার্তা দিয়ে সাবধানই করে দিলেন। কেননা, আসন্ন অস্ট্রেলিয়া-ভারত টেস্ট সিরিজে নবাগত এই গতি দানবকে দেখা যেতেও পারে। তবে সেজন্য অবশ্য তাঁকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ধাপ পাড়ি দিতে হবে।