টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে কে জায়গা পাবেন – হার্দিক পান্ডিয়া নাকি শিভাম দুবে। এমন প্রশ্নে বিভক্ত ছিল পুরো ভারত। পেস বোলিং অলরাউন্ডারের ভূমিকায় কাকে রেখে কাকে নিবেন সেই সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন ছিল নির্বাচকদের জন্যও। তবে শেষপর্যন্ত দু’জনকেই স্কোয়াডে রেখে দল ঘোষণা করেন তাঁরা, এরই মধ্য দিয়ে আইপিএলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পুরষ্কার পান দুবে।
কিন্তু পুরষ্কার পাওয়ার পর বোধহয় আলস্য আঁকড়ে ধরেছে তাঁকে। নিজের চেনা ছন্দ হারিয়ে অচেনা বনে গিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপ স্কোয়াড প্রকাশিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলেছে চেন্নাই সুপার কিংস, কিন্তু কোনবার তাঁর ব্যাটে রান আসেনি। কাকতালীয় ব্যাপার, দু’বারই পাঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল দলটি।
এইতো পাঞ্জাবের বিপক্ষে ধর্মশালায় চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে এই বাঁ-হাতি আউট হয়েছেন প্রথম বলেই। রাহুল চাহারের গুগলি বুঝে উঠার আগেই উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে বসেছিলেন, ফলে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে।
দিন দুয়েক আগেই ঘরের মাঠে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিনি। সেদিন স্পিনার হারপ্রীত ব্রার এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে আউট করেন তাঁকে। স্পিন বলের বিপরীতে এই ব্যাটারের হার্ডহিটিং সামর্থ্যের কথা জানা আছে সবারি, অথচ প্রীতি জিনতার দল তাঁকেই পরপর দুই ম্যাচে ঘায়েল করলো স্পিনার দিয়েই।
তবে কি বিশ্ব মঞ্চে খেলার সুযোগ পেয়েছেন জেনে নার্ভাস হয়ে গিয়েছেন তিনি? কেননা স্কোয়াড ঘোষণার আগে তাঁর ব্যাট রান মেশিন হয়ে উঠেছিল – নয় ইনিংসে ৩৫০ রান করেছিলেন এই তারকা, প্রতি ম্যাচেই দলকে মোমেন্টাম এনে দিয়েছিলেন তিনি।
কারণ যাই হোক, দুবের এমন ছন্দপতন শঙ্কিত করে তুলেছে সমর্থকদের। ভারতের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপে এক্স ফ্যাক্টর হবেন তিনি সেই আশায় বুক বেঁধেছিল তাঁরা। সেজন্য দ্রুতই রানে ফেরার পথ খুঁজতে হবে তাঁকে; তাহলেই স্বস্তি পাবে চেন্নাই, স্বস্তি পাবে পুরো ভারত।