চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের চার দিন চালকের আসনে থেকেও শেষ দিনে অবিশ্বাস্য ভাবে হেরে যায় বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে ব্যাট ও বল হাতে দলের সেরা পারফর্মার ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ দিনে দলের পরাজয়ের সাথে দারুণ এক রেকর্ডও মিস করেছেন মিরাজ। রেকর্ড মিস করলেও দলের পরাজয়ই বেশী কষ্ট দিচ্ছে মিরাজকে।
চট্টগ্রামেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও ছিলেন তিনি। কিন্তু দলের পরাজয়ে ম্লান হয়েছে সব কিছু; তাই ভালো করেও মজা পাননি মিরাজ। আজ মিরপুরে অনুশীলন শেষে মিরাজ জানিয়েছেন দল জিতলে ভালো লাগাটা আরো বেশি হতো।
মিরাজ বলেন, ‘দিন শেষে আমরা কিন্তু দলের জন্যই খেলি। দল জিতলে কিন্তু আমাদের ভালো লাগে। হেরে যাওয়াতে আমি যে রান করেছি বা উইকেট পেয়েছি সেটার ভিতর আমি মজাও পাইনি। আমরা যদি ম্যাচটা জিততে পারতাম, হয়তো আমার ফিলিংসটা আরো বেশি থাকতো। ভালো লাগাটা আরো বেশি থাকতো।’
তবে দলের পরাজয়ে হতাশ হলেও ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরিকে অনেক বড় পাওয়া মনে করছেন এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘তবুও দিন শেষে যেটা বলবো যে প্রথম সেঞ্চুরি করেছি, অবশ্যই ভালো লাগছে এবং এটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য অনেক বড় একটা অ্যাচিভমেন্ট আমি মনে করি।’
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে মিরাজ ছিলেন একজন জাত অলরাউন্ডার। কিন্তু জাতীয় দলে এসেই পাল্টে যায় মিরাজের ভূমিকা। মিরাজকে এখন সবাই বোলার হিসাবেই বিবেচনা করতো। কিন্তু চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি করে আবারো অলরাউন্ডার পরিচয় সবার সামনে নিয়ে এসেছেন তিনি। মিরাজ জানিয়েছেন এখন চেস্টা করবেন আরো উন্নতি করার; চ্যালেঞ্জ নিবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করার।
এ প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘যেহেতু আমি লেট অর্ডারে ব্যাট করি। হয়তো আমার ভবিষৎয়ে অনেক সাহায্য করবে সেঞ্চুরিটা। আমার দিন দিন উন্নতি করতে হবে কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেক কঠিন। আমি খেলেছি, আমি দেখছি এবং খেলছি। কিভাবে সারভাইভ করতে হয়। কিভাবে খেলতে হয়। এটা আমাকে দিন দিন উন্নতি করতে হবে যে কোন ভাবে।’
শেষ দিনে দলের পরাজয়ের সাথে দারুণ এক রেকর্ড হাতছাড়া হয়েছে মিরাজের। টেস্ট ইতিহাসে এক ম্যাচে সেঞ্চুরির সাথে ১০ উইকেট রয়েছে মাত্র তিন জন ক্রিকেটারের। ইমরান খান, ইয়ান বোথাও ও সাকিব আল হাসানের সাথে এই তালিকায় নাম তুলতে মিরাজের প্রয়োজন ছিলো ৩ উইকেটের। তবে শেষ মেয়ার্স-বোনারের লড়াইয়ে হতাশ হতে হয়েছে মিরাজকে। তবে এটা নিয়ে আক্ষেপ নেই মিরাজের।
মিরাজ বলেন, ‘আক্ষেপ যেটা বলবো, আক্ষেপ ওরকম নেই। কারণ রেকর্ড হলে ভালো হতো। কিন্তু দেন শেষে ক্রিকেট খেলা, যে কোন কিছুই হতে পারে। কিন্ত সবচেয়ে খারাপ লাগছে যে দল হারছে। কারণ আমরা আশাও করিনি যে দল হেরে যাবে। দল জিতলে হয়তো আমার পারফরমেন্সটা আরো ফোকাস হতো বা ভালো লাগতো নিজের কাছে।’