ধূমপান-বিরতি নিয়েছিলেন স্টোকস!

প্রথমবারের মত বিশ্বজয়ের দুয়ারে দাঁড়িয়ে দল। কিন্তু, তখনও চলছে ভাগ্যের দোলাচল। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের রান সমান। সুপার ওভারই শেষ ভরসা। এমন সময়ে স্নায়ুচাপে ভোগাটা খুবই স্বাভাবিক। ভুগেছিলেন স্বয়ং বেন স্টোকসও। আর সেটা এতটাই যে, গেল বছর লর্ডসের ফাইনালে সুপার ওভারের আগে ধূমপানের বিরতি নিয়েছিলেন তিনি।

‘চাঞ্চল্যকর’ এই তথ্য দিয়েছে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের ওপর লেখা একটি বই। বইটির নাম মরগ্যান’স ম্যান: দ্য ইনসাইড স্টোরি অব ইংল্যান্ড’স রাইজ ফ্রম ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ হিউমিলিশন টু গ্লোরি। বইটি লিখেছেন নিক হল্ট ও স্টিভ জেমস।

বইয়ে তাঁর ব্যাপারে লেখা হয়েছে, ‘সুপার ওভারের আগে লর্ডসের ২৭ হাজার দর্শক আর টেলিভিশন ক্যামেরার উন্মত্ততায় খেলোয়াড়দের বিরাট আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়াটা খুব স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু, বেন স্টোকস অনেকদিন ধরেই তো খেলছেন লর্ডসে। এর প্রতিটা কোণা কোণা তাঁর চেনা। আর ইয়ন মরগ্যান তাঁর খেলোয়াড়দের শান্ত আর স্বাভাবিক রাখতে নিজেদের কৌশলগুলো কাজে লাগাতে মরিয়া ছিলেন। এর জন্যই স্টোকসের শান্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়নি।’

২৯ বছর বয়সী স্টোকস ফাইনালে করেন ৮৪ রান। সুপার ওভারে করেন আট রান। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পান। বইয়ে লেখা হয়েছে, ‘ওর জার্সিটা ছিল নোংরা, ঘামে ভিজেছিলেন। দুই ঘণ্টা ২৭ মিনিট ব্যাট করেছেন। বিশাল দুশ্চিন্তা, আকাশসামান চাপ। কি করেছিলেন স্টোকস? ড্রেসিংরুমে গিয়ে, সোজা চলে যান শাওয়ারে। সিগারেটটা ধরান, কয়েকটা মিনিট সময় নেন নিজেকে শান্ত করতে।’

নি:সন্দেহে ম্যাচটা ক্রিকেটের ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ম্যাচ ছিল। ৫০ ওভারে দু’দলের রান সমান হওয়ায় ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারেও দু’দলের রান ছিল সমান। তখন বেশি বাউন্ডারি থাকার সুবাদে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। পরে আইসিসির এই বাউন্ডারি বিষয়ক আইন নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়। আইসিসি আইনেও পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link