সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় ক্রিকেটাররা

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন, সর্বমোট ৩৮ জন খেলোয়াড় তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এই কন্ডিশনিং ক্যাম্পে অংশ নিবে। যেখানে বজায় রাখা হবে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য নীতি। তবে ক্রিকেটকে মাঠে ফেরাতে সরকারের অনুমোদনও লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ক্রিকেটারদের যত দ্রুত মাঠে ফেরানো যায়, তার জন্য সব রকমের চেষ্টাই করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে, স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারটাকেই সংস্থাটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই, জুলাইয়ে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করার কথা থাকলেও, সেটা পিছিয়ে আগস্টে যাচ্ছে। তবে, এর আগে আসতে হবে সরকারের অনুমোদন।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন, সর্বমোট ৩৮ জন খেলোয়াড় তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এই কন্ডিশনিং ক্যাম্পে অংশ নিবে। যেখানে বজায় রাখা হবে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য নীতি। তবে ক্রিকেটকে মাঠে ফেরাতে সরকারের অনুমোদনও লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিসিবির প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আগে আমাদের লক্ষ্য ছিল এই মাসে ক্রিকেট মাঠে ফেরানোর। এ জন্য বিসিবি সব সুযোগ সুবিধা গুলো প্রস্তুত করে রেখেছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটি সম্ভব হয়ে উঠেনি। এখন আমরা আগস্টে ক্রিকেট শুরু করতে চাই। বিশেষ করে ঈদুল আজহার ছুটির পর। তবে সে জন্য সরকারের অনুমোদন নিতে হবে।’

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নান্নু আরো জানান ইতোমধ্যে তাঁরা কন্ডিশনিং ক্যাম্পের জন্য ৩৮ জনের একটি স্কোয়াড গঠন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ৩৮ জনের একটি দল বাছাই করেছি। তিন ফর্মেটের ক্রিকেটের জন্যই এদের বাছাই করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাদের জন্য শুরু করা হবে হাই পারফর্মেন্স ক্যাম্প।’

মুলত ফিটনেস ট্রেনিং দিয়েই শুরু হবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। এরপর ক্রিকেটাররা স্কিল সেশন শুরু করবে। নান্নু আরো বলেছেন, প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো-সহ জাতীয় দলের বিদেশি স্টাফরাও বিসিবি কার্যক্রম শুরু করলে এই ট্রনিং সেশন তদারকির ব্যাপারে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।

জানিয়ে রাখা ভাল, গেল মার্চ মাস থেকে ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশের সকল খেলাধুলা বন্ধ। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ প্রথম রাউন্ড শেষে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশ খেলবে এমন বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক আসর সাম্প্রতিক সময়ে বাতিল হয়েছে করোনা ভাইরাসের কারণে। এক বছরের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে এশিয়া কাপের আসর।

বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর ও আয়ারল্যান্ড সফর বাতিল হয়েছে। অস্ট্রেলিয়াও জানিয়ে দিয়েছে যে, তাঁরা আসবে না। বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর বাতিল হয়েছে। নিউজিল্যান্ডও এই অবস্থায় বাংলাদেশে আসতে অপারগতা জানিয়েছে। চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আদৌ হবে কি না – সেই নিয়েও আছে সন্দেহ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...