করোনা ভাইরাসের প্রকোপের ভিতরই গত অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা ছিলো বাংলাদেশের। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন ইস্যুতে স্থগিত হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা সিরিজ। স্থগিত হওয়া সেই সিরিজ অবশেষে আলোর মুখ দেখছে। আগামী এপ্রিলে টেস্ট সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
সুজন জানিয়েছেন সিরিজে তিনটি টেস্টের পরিবর্তে দুটি টেস্ট খেলতে রাজি হয়েছে শ্রীলঙ্কা। টেস্ট দুটি অনুষ্ঠিত হবে একই ভেন্যুতে। তবে কোন ভেন্যুতে খেলা হবে সেটা নিশ্চিত করেননি বিসিবির প্রধান নির্বাহী।
তিনি বলেন, ‘আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটি টেস্টের মধ্যে দুটি টেস্ট আয়োজনের জন্য রাজি হয়েছে শ্রীলঙ্কা। যদিও কোন ভেন্যুতে ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে তা খোলাসা করেননি তিনি। আমাদের সাথে এসএলসির যোগাযোগ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দুইটা টেস্ট চূড়ান্ত। দুই ম্যাচ এক ভেন্যুতেই হবে। আশা করছি এপ্রিলের ১২ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ দল সফরে যাবে। ভেন্যু স্বাগতিক বোর্ড ঘোষণা করবে। তাই ঘোষণা ওদের থেকে আসলেই ভালো হবে।’
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে কোয়ারেন্টাইন নিয়ে দুই বোর্ডের মতের মিল না হওয়াতে স্থগিত হয়ে যায় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ। বাংলাদেশের চাওয়া ছিলো সফরের আগে ঢাকায় সাত দিন ও শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সাত দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকবে ক্রিকেটাররা। আর শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বাংলাদেশকে।
শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে তখন আরো জানানো হয়েছিলো কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় হোটেলেই অবস্থান করতে হবে সাবাইকে। এসময় অনুশীলনও করতে পারবে না বাংলাদেশ। কোয়ারেন্টাইন শেষে অনুশীলন শুরুর পর নেট বোলারও দেওয়া হবে না বাংলাদেশকে। এমনকি দেশ থেকেও নেট বোলার নিতে পারবে না বাংলাদেশ। স্কোয়াডের বোলার দিয়েই করতে হবে অনুশীলন।
তবে এবার সেই গাইডলাইন শিথিল করা হচ্ছে। ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে যেরকম গাইডলাইন দিয়েছিলো শ্রীলঙ্কা সেটাই প্রযোজ্য হবে বাংলাদেশের জন্যও। এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ইতোমধ্যে ইংল্যান্ড সফর করেছে। তাদের যে ধরনের নিয়ম বা গাইডলাইন দেওয়া হয়েছিল আমাদেরও এভাবেই দেওয়া হবে।‘
করোনা বিপর্যয়ে প্রায় এক বছর মাঠের বাইরে ছিলো বাংলাদেশ। এসময় স্থগিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের অনেক সিরিজ। শুধু বাংলাদেশই নয়; অনেক দেশের সিরিজ আলোর মুখ দেখেনি এই সময়ে। অন্য দেশ গুলো ইতোমধ্যে পরবর্তী এফটিপি করা শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু সুজন জানিয়েছেন বাংলাদেশের এফটিপি করাই আছে।
বিসিবির এই প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘২০২৩ পর্যন্ত তো সূচি করাই আছে। এরপর দ্বিতীয় সার্কেল শুরু হবে। সদস্য দেশগুলো মিলে আমরা চেষ্টা করছি ২০২৩ এর পর পরবর্তী চার বা আট বছরের সূচি করার।’