টি-টোয়েন্টি কেবল রানের খেলা নয়। মাঝে মাঝে বড় রান করাটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেও অধিকাংশ সময়ে ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে লম্বা ইনিংস খেলার চেয়ে দ্রুত রান করতে পারাটা ম্যাচে বেশি প্রভাব রাখে। তাই তো সেঞ্চুরি করলেও সেটা কত বলে করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, ধীর গতির সেঞ্চুরি হলে প্রশংসার চেয়ে সমালোচনা হয় বেশি।
আইপিএলে রয়েছে ধীর গতির অনেক সেঞ্চুরি; সেসব সেঞ্চুরিয়ানের তালিকায় আবার আছেন শচীন টেন্ডুলকার, বিরাট কোহলির মত বড় মাপের ব্যাটাররা।
অবশ্য এই লিগে সবচেয়ে বেশি বল খেলে শতক হাঁকানোর রেকর্ড রয়েছেন দু’জন। মানিশ পান্ডে ও বিরাট কোহলি। প্রথমে এই কীর্তি কেবল পান্ডের একার ছিল। ২০০৯ সালে ডেকান চার্জার্সের মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু; সেই ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ২০২৪ সালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে একই রেকর্ডে নাম লেখান কোহলি।
শচীন টেন্ডুলকারের ঝুলিতে রয়েছে দ্বিতীয় সর্বনিন্ম স্ট্রাইক রেটের শতক – ২০১১ সালের আইপিএলে কোচি টাস্কার্স কেরালার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটার শচীন। সেদিন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে তাঁর ৬৬ বল লেগেছিল। পরবর্তীতে সমান সংখ্যক ডেলিভারিতে সেঞ্চুরি করেছেন আরো দু’জন; ২০১০ সালে কলকাতার বিপক্ষে ডেভিড ওয়ার্নার এবং তার এক যুগ পরে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে জস বাটলার ৬৬ বলে শতক পূর্ণ করেছিলেন।
এই তারকাদের পরেই আছেন কেভিন পিটারসন। এই ইংলিশ ব্যাটার ২০১২ সালে ডেকান চার্জার্সের বিপক্ষে হেলমেট খুলে উদযাপনের সুযোগ পেয়েছিলেন আর সেজন্য তাঁকে খেলতে হয়েছে ৬৪ বল।
আলোচিত এই তালিকায় বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের নাম রয়েছে দুইবার করে। ২০১৬ সালে অবিশ্বাস্য ফর্মে ছিলেন কোহলি, সেবার গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে ৬৩ বলে তিন অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করেছিলেন তিনি; আর সবশেষ গত মৌসুমে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ৬২ বল খেলে আরাধ্য সেই মাইল ফলক স্পর্শ করেছেন।
অন্যদিকে, ২০১৯ সালে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন রাহুল। পরের বছরই আবার ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৬২ বলে শতক পূর্ণ করেন তিনি। তাঁরা দু’জন ছাড়াও ৬২ বলে সেঞ্চুরি করেছেন আরেক ব্যাটার, তিনি আম্বাতি রায়ডু।