বাবার হাত ধরে ছেলের স্বপ্ন পূরণ

ক্লিন বোল্ড। স্ট্যাম্প উপড়ে গেল মোহাম্মদ মিঠুনের। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট এভাবে পেতে কে না চাইবেন। নুহায়েল সানদিদও নিশ্চয়ই সেটাই চেয়েছিলেন। দল হারলেও ক্যারিয়ারের শুরুটায় যথেষ্ট প্রতিশ্রুতিই দেখিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের আলোচিত এই স্টারকিড!

স্বপ্নের মত শুরুটা অবশ্য ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে দিনের শুরুতেই করে ফেলেছেন। অভিষেক ক্যাপ – যেকোনো ক্রিকেটারের জন্যই পরম আরাধ্য এক প্রাপ্তি। আর সেই ক্যাপটাই যদি তুলে দেন বাবা, তাহলে সেই আনন্দ যেন হয়ে যায় দ্বিগুণ।

এই ঘটনাটাও ঘটেছে নুহায়েল সানদিদের সাথে। তিনি দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের ছেলে।সানদিদের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে ফতুল্লায়, কোচ সালাউদ্দিনের দল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে।

চায়নাম্যান নুহায়েল সানদিদ শিকার করেন ৪১ রানে ২ উইকেট। প্রথমে মিঠুন, আর এরপর নিয়েছেন শেষ মেহেদী হাসানের উইকেট। প্রথম ম্যাচ হিসেবে এই অর্জনটাকে সাদা চোখে ভালই বলতে হচ্ছে।

তবে, তাঁর দল গাজী টায়ার্স ক্রিকেট অ্যাকাডেমি ম্যাচটা হেরেছে বাজে ভাবে। প্রাইম ব্যাংকের ২৬৯ রানের জবাবে অল আউট হয় মাত্র ১২৮ রানে। ৬৯ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তবে, আক্ষরিক অর্থেই এই ম্যাচের সবটুকু আলো ছিল সানদিদের ওপর।

এমনিতেই বাংলাদেশে বৈচিত্রময় বোলারের খুব অভাব। চায়নাম্যান নেই বললেই চলে। সেদিক থেকে ফতুল্লার প্রখর রোদ্দুরে খানিকটা যেন স্বস্তির প্রলেপই দিলেন সানদিদ। দেশের ক্রিকেটেও তিনি এমন স্বস্তির প্রলেপ দিতে পারবেন কি না – সেটা সময়ই বলে দেবে।

সানদিদের বয়স মাত্র ১৭। আর বাবা খোদ সালাহউদ্দিন আছেন তাঁর পাশে। তাই, আপাতত সানদিদের পক্ষেই বাজি ধরা যায়। কে জানে, তিনিই হয়তো একদিন পারবেন বাংলাদেশের চায়নাম্যানের আক্ষেপ ঘুচিয়ে দিতে।

চ্যালেঞ্জটা সালাহউদ্দিন নিজেও নিতে পারেন। এই সালাউদ্দিনের হাতেই তো গড়ে উঠেছেন সাকিব আল হাসান, যে মানুষটা কে সেটা আলাদা করে বলা লাগে না।

পরিচর্যা পেলে, বাবার ছায়া আর পরামর্শ পেলে একদিন সানদিদও হয়তো এমন কিছুই করবেন – যখন তিনি কে সেটা আর আলাদা করে বলতে হবে না!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link