মিরপুরে নাসুমের দিন

একটা সময় বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন নাসুম আহমেদ, এমন কি সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে ওয়ানডে ফরম্যাটেও তাঁকে সুযোগ দেয়া হত সবার আগে। কিন্তু সেসব দিন এখন অতীত হয়েছে, লাল-সবুজ জার্সির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বেড়েছে অনেক খানি। তবু দলে ফেরার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি, নিজের সেরাটা দিচ্ছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) চলমান আসরে ব্রাদার্স ইউনিয়নের মুখোমুখি হয়েছিল নাসুমের দল। আর এই ম্যাচে ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে স্রেফ ২২ রান দিয়েছেন তিনি, বিনিময়ে শিকার করেছেন পাঁচ পাঁচটি উইকেট। ফাইফারের স্বাদ পাওয়ার পর স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে ভুল হয়নি তাঁর, পশ্চিম দিকে ফিরে সেজদা দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

টসে জিতে মোহামেডান আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেই সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতেই ব্যক্তিগত প্রথম ওভারে ব্রাদার্সের রহমতুল্লাহ আলীকে আউট করেন এই স্পিনার, শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রহমত। পরের ওভারে আবার ইমতিয়াজ হোসেনকে একই কায়দায় পরাস্ত করেন তিনি।

টপ অর্ডারের ব্যর্থতা কাটিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার মাহমুদুল হাসান ও রাহাতুল ফেরদৌস। নাসুম অবশ্য তাঁদের বেশিদূর যেতে দেননি, কয়েক ওভারের ব্যবধানে দুজনের উইকেট তুলে নেন তিনি। শেষদিকে মনির হোসেনকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে পূর্ণ করেন পাঁচ উইকেটের মাইল ফলক। তাঁর এমন বোলিংয়ের কল্যাণে কেবল ১৩৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।

লিস্ট এ ক্রিকেটে এর আগে একবারই শুধু পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন এই বাঁ-হাতি। এবার দ্বিতীয়বারের মত আরাধ্য অর্জন ছুঁয়ে দেখতে পারলেন তিনি, এছাড়া এটি তাঁর লিস্ট এ ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার বটে।

চলতি ডিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর তালিকায় চার নম্বরে রয়েছেন এই তারকা। ১১ ইনিংস খেলে ঝুলিতে পুরেছেন ১৮ উইকেট। ওভার প্রতি খরচ করেছেন মোটে ৩.৫০ রান, কমপক্ষে ১৫ উইকেট পেয়েছেন এমন যে কারো চেয়ে তাঁর ইকোনমি ভাল। অর্থাৎ সবমিলিয়ে দারুণ একটা টুর্নামেন্ট কাটাচ্ছেন তিনি; হয়তো ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে রাখছেন সমর্থকদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link