ধীর গতির ব্যাটিং নয় পাকিস্তানের হারের কারণ

বেজায় ধীর গতিতে রান সংগ্রহ করেন বাবর আজম। যার ব্যত্যয় ঘটেনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও। ১২৭ এর একটু বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। সেটাই দলের জন্যে কাল হয়েছে বলেই মত অধিকাংশের। তবে বাবর অবশ্য এমন কোন বক্তব্যের পক্ষে নন।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ৬ ওভারে ৫৪ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে পাকিস্তান। সেখান থেকে শেষ অবধি ১৭৮ অবধি নিজেদের সংগ্রহ নিয়ে যেতে সক্ষম হয় বাবর আজমের দল। যার কৃতীত্ব শাদাব খানের। তার ঝড়ো ইনিংসের কারণেই ১৭৯ রানের একটা চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুড়ে দিতে পেরেছিল পাকিস্তান।

তবে শেষ অবধি পাকিস্তানের অধিনায়কের কণ্ঠে শোনা গেছে সেই চিরায়ত গান- দশ রান কম হয়েছে। বাবর বলেন, ‘আমার মনে হয় না মিডল ওভারে স্লথ রানরেট খুব বেশি পার্থক্য সৃষ্টি করেছে কারণ আমরা শেষ অবধি তাল মেলাতে পেরেছি। আমাদের দশ রান কম ছিল সেটা বলতে পারেন।’

সেই ম্যাচে দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ইনজুরি আক্রান্ত হয়ে মাঠ ছেড়েছেন। তার আগে রিজওয়ান ২১ বল খরচায় করেছিলেন ২২ রান। তিনি রীতিমত সেট হয়ে গিয়েছিলেন। যখনও হাতখুলে খেলতে যাবেন, ঠিক তখনই হানা দেয় ইনজুরি। আর ঠিক সেখানেই পিছিয়ে গেছে পাকিস্তান- তেমন মতই প্রকাশ করেছেন বাবর।

তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, আমরা রিজওয়ানকে নিয়ে বিপাকেই পড়েছিলাম, কেননা নতুন ব্যাটারের জন্যে তার জায়গায় ব্যাট করাটা সহজ ছিল না।’ রিজওয়ান পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্যে বেশকিছু বল ব্যয় করেন। আর তার রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার সাথে সাথে বাইশ গজে হাজির হন ইরফান খান। তরুণ ইরফানের উপরে চাপ এসে পড়ে দ্রুত রান তোলার।

তাকে নির্ভার রাখতে শাদাব খান মারকাটারি ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন। মাত্র ২০ বলে ৪১ রানের এক তাণ্ডব চালান শাদাব খান। তাতে করেই বাবর, রিজওয়ানদের স্লথ গতিতে রান তোলার বিষয়টি ঢাকা পড়ে যায়। পাকিস্তান একটা লড়াকু সংগ্রহ পায় স্কোরবোর্ডে। তাইতো বাবর প্রশংসায় ভাসিয়েছেন শাদাব খানকে।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি শাদাব ভালভাবেই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। ইরফানকে সাথে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তুলেছে। পিন্ডিতে ১৮০-৯০ রান পার-স্কোর। আমরা ব্যাটিংয়ে ভাল করেছি।’ সত্যিকার অর্থেই পাকিস্তান ব্যাটিং ভাল করেছে কি-না সে প্রশ্ন অবশ্য তুলেছেন নিউজিল্যান্ডের মার্ক চ্যাপম্যান।

৪২ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। প্রায় একা হাতেই হারিয়েছেন পাকিস্তানকে। তাইতো রাওয়ালপিন্ডির উইকেট যে ব্যাটারদের সহয়তা করেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পাকিস্তানের ব্যাটাররা সেটার সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। সে দায় এড়ানোর চেষ্টাই করেছেন বাবর আজম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link