অভাগাদের অধরা ভারতীয় জার্সি

ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দল পরম আরাধ্য এক জায়গা। দেশটির ক্রিকেটের সাথে জড়িয়ে আছে কতশত নাম। কতজন তো হয়েছেন মহারথী। ওই নীল জার্সিটা গায়ে চাপিয়ে বিশ্ব শাসন করেছেন বহুলোক। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যারা কি-না খুব কাছে থেকেও রয়ে গেছেন বহুদূরে।

ভারত জাতীয় দলে ডাক পেলেও কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাদের। এমন খেলোয়াড় রয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের নিয়েই খেলা-৭১ এর আজকের আয়োজন।

  • ধিরাজ যাদব

ঘরোয়া ক্রিকেটে রান বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন ধিরাজ যাদব। যার ফলশ্রুতিতে ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট দলে ডাক পান তিনি। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে সুযোগ হয়নি তার। সেদিক থেকে নিজেকে ভারতের সবচেয়ে দুর্ভাগা ক্রিকেটার হিসেবেই দাবি করতে পারেন ধিরাজ।

  • শিব শঙ্কর পাল

দুই দুইবার দলে ডাক পেলেও, ভারতের হয়ে মাঠে নামা হয়নি শিব শঙ্কর পালের। ঘরোয়া ক্রিকেটে উইকেট শিকারের নেশায় তিনি ছিলেন মত্ত। ২০০৪ সালে এই পেসারকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের একটি ম্যাচে ডাকা হয়েছিল দলে। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দলেও ছিলেন শিব শঙ্কর। তবে একটি ম্যাচেও তার ঠাই হয়নি একাদশে। ভারত এ দলের নিয়মিত মুখ হয়েও, জাতীয় দলে নিজের সাক্ষর রাখার সুযোগ পাননি।

  • রানাদেব বসু 

ভারতীয় ক্রিকেটাঙ্গনে রানাদেব বসুর আবির্ভাব ঘটেছিল সম্ভাবনাময় একজন বোলার হিসেবে। ঘরোয়া ক্রিকেট ও ‘এ’ দলের হয়ে পারফরমেন্সের সুবাদে জাতীয় দল থেকে ডাক এসেছিল তার। যদিও শেষ অবধি ভারত দলের হয়ে মাঠে নামেননি তিনি। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে শ্রীশান্তকে একাদশে সুযোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়।

  • সুনীল ওয়ালসন

দুর্ভাগ্যের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ঘুরে এসেছেন সম্ভবত সুনীল ওয়ালসন। ১৯৮৩ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ার্ম আপ ম্যাচে দুই ওপেনারের উইকেটও শিকার করেছিলেন তিনি। তবে সেবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ তাকে গ্রহণ করতে হয়েছিল সাইড বেঞ্চে বসে। জাতীয় দলের হয়ে এর পরবর্তী সময়েও খেলা হয়নি সুনীল ওয়ালসনের।

  • রাজেশ পাওয়ার 

২০০৭ বিশ্বকাপের জন্যে ৩০ সদস্যের প্রাথমিক দল করেছিল ভারত। সে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন রাজেশ পাওয়ার। তবে পরবর্তীতে বা-হাতি এই বোলার ১৫ সদস্যের দলে সুযোগ পাননি। তার থেকেও ভারতীয় জার্সির খুব কাছে পৌছে গিয়েছিলেন তিনি সেই বছরেই। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্যে ডাক এসেছিল এই স্পিনারের। তবে সেই সিরিজটিও তার কেটেছে ডাগআউটে বসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link