সাই সুদর্শনের নিরব হুঙ্কার

ভারতের নতুন টি-টোয়েন্টি তারকাদের নিয়ে আলোচনায় তার নাম আসে না, ছিলেন না  বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ার দৌড়েও। মারকাটারি ক্রিকেটের সাথে তার নামও জুড়ে দেয় না কেউ, সাই সুদর্শন প্রতিনিয়ত পারফর্ম করে যান যেন অনেকটা নিভৃতেই। এরই ধারাবাহিকতায় চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলেছেন তিনি।

আহমেদাবাদে এদিন মাত্র ৫১ বলে ১০৩ রান করেছেন এই তরুণ। ওপেনিংয়ে নেমে অপরাজিত ছিলেন আঠারো ওভার পর্যন্ত, দলকে এনে দিয়েছেন আকাশসম সংগ্রহ। শুভমান গিলের সঙ্গে গড়েছেন আইপিএলের রেকর্ড ওপেনিং পার্টনারশিপ। তাদের ২১০ রানের ম্যারাথন জুটিতে ভর করেই রেকর্ড পুঁজি পেয়েছে গুজরাট।

প্রথম দুই ওভার দেখে শুনেই খেলেছিলেন সাই। কিন্তু তৃতীয় ওভারে শার্দুল ঠাকুর আক্রমনে আসতেই ছক্কা হাকিয়ে তাকে স্বাগত জানান। এরপর সময় যতই গড়িয়েছে, আক্রমনের ধার ততই বাড়িয়েছেন সাই সুদর্শন। ব্যক্তিগত পঞ্চাশ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মাত্র ৩২ বলে।

যদিও ব্যক্তিগত মাইলফলক তুষ্ট করতে পারেনি এই বাঁ-হাতিকে, চেন্নাইয়ের বোলারদের ওপর আরো আক্রমণাত্বক হয়ে উঠেন তিনি। পাওয়ার হিটিং আর ক্লাসিক্যাল শটের মিশ্রণে অপূর্ব ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখান সেসময়।

সতেরোতম ওভারে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, ছক্কা মেরে তিন অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করেন এই তারকা। ৩২ বলে পঞ্চাশ রান থেকে ৫০ বলে পৌছে যান শত রানের মাইলফলকে। অর্থাৎ শেষ পঞ্চাশ রান করতে সাই সুদর্শনকে কেবল ১৮ বল খেলতে হয়েছে।

সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরের বলেই অবশ্য আউট হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু ততক্ষনে কাজের কাজ করে ফেলেছেন। আউট হওয়ার সময় নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিলো ৫১ বলে ৭ টি ছক্কা এবং ৫ টি চারে সাজানো ১০৩ রানের অনবদ্য এক ইনিংস।

ভারতের আগামী দিনের টি-টুয়েন্টি তারকাদের তালিকায় সাই সুদর্শনের নাম আসে না। কিন্তু ইতোমধ্যেই ২০২৪ আইপিএলে করে ফেলেছেন ৫০০ এর বেশি রান। ৫২৭ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। স্ট্রাইক রেটও ইর্ষণীয় , ১৪১.২৮। এভাবে ধারাবাহিক পারফর্ম করে গেলে লোকমুখে সাই সুদর্শনের নাম উচ্চারিত হতে সময় লাগবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link