জীবন যেখানে যখন যেমন, তেমন ভাবেই মুখোমুখী হতে হয় জীবনের। পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম যেন সেই নিয়মের অনুসারী। অর্থাৎ পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং পরিবর্তন করতে বেশ পারদর্শী বাবর। তাই তো বাবরের সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্স নিয়ে মন্তব্য করেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মিসবাহ উল হক।
একজন ব্যাটার শুধুমাত্র ২২ গজে বোলারের বলেরই মুখোমুখী হন না। বরং তাঁদের সম্মুখীন হতে হয় মাঠের বাইরের সব সমালোচনার, তর্ক- বিতর্কের। সে বাঁধা অতিক্রম করে দেশের হয়ে ভালো পারফর্ম্যান্স দেখাতে হয় তাঁদের।
ঠিক যেমনটা হয়েছে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের সাথে। অনেকদিন ধরেই আলোচনা-সমালোচনা চলছিল তাঁর ব্যাটিং ধরণ নিয়ে। তবে সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর ৭৫ রানের ইনিংস নজর কেড়েছে সবার। যেখানে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৭৫ এর উপরে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাবরকে তাঁর স্ট্রাইক রেটের দিকেই মনযোগ দিতে বলেন মিসবাহ উল হক। জোর দেন দলের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাটিংপরিবর্তন করার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাবরের ইনিংসের প্রশংসা করেন তিনি। তবে তিনি আধুনিক ক্রিকেটে পরিস্থিতি অনুযায়ী কৌশল পরিবর্তনে একজন দলপতির সক্ষমতার উপর জোর দেন।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি সে (বাবর) তাঁর স্ট্রাইক রেটের উন্নতি করেছে। আশা করি আগামীতে দলের প্রয়োজন অনুসারে ইনিংস খেলতে সক্ষম হবে। অ্যাঙ্করের ভূমিকা প্রয়োজন হলে, তাঁকে সেই ভূমিকা পালন করতে হবে। তখন দলের প্রয়োজনে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৬০ থেকে ১৭০ কিংবা ২০০ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে হতে পারে। দলের লক্ষ্য যখন ২০০ তখন বাবরকে খেয়াল রাখতে হবে তাঁর স্ট্রাইক রেট যেন ১৩০ বা ১৪০-এ আটকে না থাকে।’
মাঠের বাইরের চাপকে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে তিনি বলেন, ‘বাইরের চাপ খেলোয়াড়দের পারফর্ম্যান্সে প্রভাব ফেলে। তবে ভালো মানের খেলোয়াড়েরা মানসিকভাবে শক্ত থেকে তা মোকাবেলা করেন। সেসব সমালোচনার জবাব মাঠেই দেয়া উচিত। মাঝে মাঝে সমালোচনা থেকেও তাঁরা উৎসাহ খুঁজে নেয়।’
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবর আজমের পরিস্থিতির সাথে তাঁর মানসিকতা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন মিসবাহ। কেননা বিশ্বকাপের শিরোপার স্বাদ পেতে পাকিস্তানের কোটি সমর্থক এখনো মরিয়া। আর সেই আরাধ্য সাধনের গুরু দায়িত্ব এখন বাবর আজমের কাঁধে।