জাভেদ মিয়াঁদাদ, সাঈদ আনোয়ার, মোহাম্মদ ইউসুফ থেকে শুরু করে গত দশকের ইউনুস খান, মিসবাহ উল হক – কিংবদন্তি ব্যাটারের জন্ম দিতে কখনোই কার্পণ্য করেনি পাকিস্তান। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ মঞ্চে আবির্ভূত হয়েছেন বাবর আজম। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রান সংগ্রাহক বনে গিয়েছেন তিনি।
বোঝাই যাচ্ছে, তিন ফরম্যাটেই নিরলস গতিতে রান করতে জানেন এই ব্যাটার। উইকেট কিংবা বোলার নির্বিশেষে তাঁর ব্যাটে দেখা যায় রান ফোয়ারা। তবু মাঝে মাঝে কোন বোলার তাঁকে চ্যালেঞ্জ জুড়ে দিতে পেরেছিলেন বটে; সেই ব্যাপারেই এবার মুখ খুলেছেন তিনি, জানিয়েছেন এখন পর্যন্ত মোকাবিলা করা সবচেয়ে কঠিন বোলারের নাম।
স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় বাবরের দেখা সবচেয়ে কঠিন বোলার কে এমন প্রশ্ন করা হয়। সেখানে তিনি অবশ্য জাসপ্রিত বুমরাহ বা মিচেল স্টার্কদের নাম বলেননি, বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের নাম। কেননা তাঁর মতে, কামিন্স ব্যাটারকে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলার সুযোগ দেয় না; বাজে বল বলতে গেলে পাওয়াই যায় না তাঁর কাছ থেকে।
এই তারকা বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে প্যাট যেভাবে নিজের উন্নতি করেছে সেটা অসাধারণ। তিনি বাজে ডেলিভারি করেন না বললেই চলে, নির্দিষ্ট এক ব্যাটারের জন্য কোন লাইনে বল করতে হবে সেটা তাঁর মুখস্থ। এক কথায়, তিনি আপনার টেম্পারমেন্ট আর টেকনিকের সর্বোচ্চ পরীক্ষা নিবেন।’
ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার সূত্র ধরে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল এই ডানহাতিকে। কিন্তু সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আবারো অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাঁকে। তাই তো এবার ২০২৩ বিশ্বকাপের স্মৃতি ভুলে নতুন কিছু করার দিকেই তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে তাঁর।
যদিও এখন পর্যন্ত নেতৃত্বের দ্বিতীয় মেয়াদ খুব একটা ভাল যায়নি এই ব্যাটারের। নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সারির দলের বিপক্ষে সিরিজ জিততে ব্যর্থ হয়েছেন; আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও হেরেছেন এক ম্যাচ। আপাতত দেখার বিষয়, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কেমন করে তাঁর দল।