একটি উড়ন্ত সূচনা, মাঝে দায়িত্বশীল ব্যাটিং, শেষে ভাগ্যের কাছে হার মেনে সাঝঘরে ফেরা। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ফাফ ডু প্লেসিসের ইনিংসের সংজ্ঞায়ন করলে অনেকটা এমনই দাঁড়ায়। দারুণ শুরু করেও অনেকটা অভাগার মতই সাঝঘরের পথ ধরতে হয় তাঁকে।
ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্যা ফ্রন্ট, এই ইংরেজি প্রবাদের বাস্তবায়ন ঘটাতে চেয়েছিলন ফাফ ডু প্লেসিস। ব্যাঙ্গালুরুর এই দলপতি চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে দিলেন দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) বাঁচা মরার লড়াইয়ের এম চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে মাঠে নামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। যেখানে ব্যাঙ্গালুরু হারলেই হারাবে প্লে অফের টিকিট।
টসে জিতে ব্যাঙ্গালুরুকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রুতুরাজ গাইকড়ের দল চেন্নাই। তবে প্রথমে তাঁদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে শুরু করে ব্যাঙ্গালুরুর দুই ওপেনার বিরাট কোহলি এবং ডু প্লেসিস। ব্যাঙ্গালুরুকে এনে দেন এক উড়ন্ত সূচনা। দলপতি ডু প্লেসিস ৩৯ বলে ১৩৮.৪৬ স্ট্রাইক রেটে করেন ৫৪ রান। ৩ টি চার আর ৩ টি ছক্কায় সাজিয়েছিলেন তাঁর এই ইনিংস। । তবে তৃতীয় ওভারে আঘাত হানে বৃষ্টি। সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকে কোহলি- ডু প্লেসিসের ঝড়।
তবে বিরতি থেকে ফিরে আগের সেই রূপে যেতে পারছিলেন না ডু প্লেসিস। তবে দেখে শুনে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে যেতে থাকেন তিনি। অর্ধশতকের দ্বার প্রান্তে গিয়ে কোহলি সাঝঘরে ফিরে গেলেও, ব্যাঙ্গালুরু দলপতি আদায় করে নেন তাঁর অর্ধশতক। সেই অর্ধশতক পূর্ণ করতে ডু প্লেসিস খরচ করেন ৩৫ বল।
তবে তেরোতম ওভারে নিউজিল্যান্ডের বোলার মিচেল স্যান্টনারের বল সোজা ডাউন দ্যা উইকেটে পাঠাতে চায় রজত পতিদার। আর সেই স্যান্টনারের হাতের ছোয়াতে বল লাগে স্ট্যাম্পে। ততক্ষণে অনেকটা সামনে এগিয়ে আসেন ডু প্লেসিস। আর সেই অনাকাঙ্খিত ভুলের মাশুল দিতে হল ব্যাঙ্গালুরু দলপতিকে। তবে আরো কিছু সময় ২২ গজে থাকলে হয়তো ডু প্লেসিস ঝড়ে উড়ে যেত চেন্নাইয়ের বোলাররা।
উভয় দলের জন্যেই এই ম্যাচ অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাঙ্গালুরুকে শুধু জিতলেই হবে না, বরং জিততে হবে ১৮ কিংবা তার বেশি পরিমাণ রানে। আজ না জিতলে ১৮ তম সিজনের জন্য আবারো অপেক্ষা করতে হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে। তবে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার আগে গুরুদায়িত্বটা ঠিকই পালন করে যান দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটার। দলকে এগিয়ে নিয়ে যান বিশাল সংগ্রহের দিকে।