২০২৩ সাল থেকে আমূল বদলে গিয়েছেন ট্রাভিস হেড, গড়পড়তা ক্রিকেটার থেকে বনে গিয়েছেন ‘বিগ স্টেজ ম্যান’। সে বছরের টেস্ট চ্যাম্পিয়ন্সশিপ আর ওয়ানডে বিশ্বকাপ, দুইটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ফাইনালের ভাগ্য একাই নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন তিনি। তাই তো আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর ওপর প্রত্যাশা অনেক বেশি, তাঁকে ঘিরেই পরিকল্পনা আঁটছে অস্ট্রেলিয়া।
তবে এই ব্যাটারের ওপর প্রত্যাশা মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সৌজন্যে। এবারের আসরে বোলারদের জন্য রীতিমতো আতঙ্ক হয়ে উঠেছেন তিনি, ইনিংসের শুরু থেকে শেষ বলকে বেধড়ক পিটুনি দেয়াই তাঁর প্রধান ও একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁকে ওপেনিংয়ে ব্যবহার করেই সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ প্রায় প্রতি ম্যাচেই অবিশ্বাস্য সূচনা পাচ্ছে।
পরিসংখ্যানও কথা বলছে এই বাঁ-হাতির পক্ষে। ২০০ এর বেশি স্ট্রাইক রেট আর ৫০ ছুঁই ছুঁই ব্যাটিং গড় নিয়ে ৫৩৩ রান করেছেন তিনি, একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন চারটি। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটছে তাঁর।
এটা সত্য, আইপিএল আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এক নয়। বিশ্বকাপে তাই একইভাবে পারফর্ম করবেন হেড সেটা আশা করা উচিত হবে না। তবে বিশ্বকাপে তিনি যেভাবে পারফর্ম করেন সেটি অতিমানবীয় বটে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে মাত্র ছয় ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল তাঁর, এতেই ৩২৯ রান করেছেন। সেমিফাইনাল ও ফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জিতেছেন ‘ব্যাক টু ব্যাক’ ম্যাচ সেরার পুরষ্কার।
ওয়ানডে ফরম্যাটেই এমন বিধ্বংসী, নিজের প্রিয় বিশ ওভারের সংস্করণে নিশ্চয়ই আরো বেশি কিছু দিতে চাইবেন এই ওপেনার। পেস ও স্পিনের বিপক্ষে সমান শক্তিশালী হওয়ায় তাঁকে আটকানো সহজ হবে না প্রতিপক্ষের জন্য। তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ পাওয়ার প্লের ফায়দা তোলা। উইকেটে এসেই ঝড় তুলতে জানেন তিনি, এমনকি প্রথম ছয় ওভার মাঠে থাকলে হয়তো হাফ-সেঞ্চুরির মাইলফলকও পেরিয়ে যাবেন!
এসব কিছুই অবশ্য পুরনো পরিসংখ্যান আর অজি তারকার সামর্থ্যের উপর ভর করে দাঁড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার দায়িত্ব নিতে হবে তাঁকে, এখন দেখার বিষয় কাজটা কতটুকু করতে পারেন তিনি।