টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের হ-য-ব-র-ল অবস্থা বটে; লিটন দাস, সৌম্য সরকার কিংবা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সবাই ব্যাট হাতে ছন্দহীন। এমন অবস্থায় খানিকটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছেন তানজিদ তামিম, বাকিদের ব্যর্থতার মাঝে নিয়মিত রান করছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ব্যাটে চড়েই জিতেছে বাংলাদেশ।
ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখলেও এই তরুণের সাথে টি-টোয়েন্টিটাই বেশি মানায়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবশেষ আসরেও বেশ উজ্জ্বল ছিলেন; এরপর নিজের প্রিয় সংস্করণে সুযোগ পেয়ে আর দেরি করেননি তিনি, প্রতিভার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন বাইশ গজে।
মার্কিনিদের বিপক্ষেও সেটারই পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছেন এই বাঁ-হাতি, ৪২ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়ে সাজানো ইনিংসটিতে ছিল আত্মবিশ্বাসের ফুল ঝুরি, নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে কতটা উদগ্রীব হয়ে আছেন, সেটিই বোঝা গিয়েছে তাঁর ব্যাটিংয়ে। আর এমন পারফরম্যান্সের সুবাদে দশ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে টিম বাংলাদেশ।
গড়পড়তা লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসনের পথ বেছে নিয়েছিলেন জুনিয়র তামিম। সিরিজ জুড়ে তাণ্ডব চালানো সৌরভ নেত্রাভাল্কারকে জোড়া চার হাঁকিয়ে রানের খাতা খুলেছিলেন তিনি। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে, ওপেনিংয়ের সঙ্গী সৌম্য সরকারকে নিয়ে সাবলীল ব্যাটিং করে গিয়েছেন।
মাঝের ওভারে অবশ্য কিছুটা দেখেশুনে খেলেছিলেন এই ব্যাটার, তবে হাফ-সেঞ্চুরি পেতে সমস্যা হয়নি তাতে। ৩৯ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটির দেখা পেয়েছেন তিনি। এর আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজে দুই ফিফটির সাহায্যে ১৬০ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে – বিশ্বকাপে কিছুটা হলেও তাই তাঁকে ভরসা করা যায়।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এক্স ফ্যাক্টর হিসেবেই খেলেছিলেন এই উদীয়মান তারকা। কিন্তু বলার মত কিছু করতে পারেননি তিনি। এবার দায়িত্ব বেড়েছে আগের তুলনায়, এবার কি বিশ্ব মঞ্চে হাসবে তাঁর ব্যাট – সেটাই এখন দেখার বিষয়।