যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে পাকিস্তানকে পরাজয়কে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় অঘটন বলা যায়। বাবর আজম, ফখর জামানের মত ব্যাটার কিংবা শাহীন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমিরের মত বোলার কি ছিল না পাকিস্তানের একাদশে তবু তুলনামূলক খর্ব শক্তির প্রতিপক্ষকে হারাতে পারেনি তাঁরা। কিন্তু এই অঘটনকে যদি আপনি স্রেফ ভাগ্যের দান ভাবেন তাহলে ভুল করবেন।
কেননা এর পিছনে লুকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রের দুর্দান্ত গেম প্ল্যান, যার নেপথ্যে এক বাংলাদেশি, নাম তাঁর মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। দলটির টিম অ্যানালিস্ট হিসেবে আছেন তিনি। লম্বা সময় বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগে কাজ করেছিলেন তিনি, যুব টাইগারদের বিশ্বকাপ জয়ের সময়ও আকবর আলীদের সঙ্গে ছিলেন। তাঁর বুদ্ধির জোরেই ট্যাকটিক্সের খেলায় পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিক আমেরিকা।
পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে বাঁ-হাতি ব্যাটার মাত্র একজন, বাকি সবাই ডান-হাতি। সেজন্যই একাদশে বাঁ-হাতি বোলার থাকা সত্ত্বেও নশটাশ কেনজিজকে একাদশে রেখে ছিল এদিন। সবমিলিয়ে দুইজন করে বাঁ-হাতি পেসার এবং স্পিনার একাদশে রেখেছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট।
এমন সিদ্ধান্ত কাজেও দিয়েছে; পুরো ইনিংস জুড়ে পাক ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন এই বোলাররা। শুরুতেই বলতে হয় সৌরভ নেত্রাভালকারের কথা, রিজওয়ান এবং ইফতেখারের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। তাঁর চার ওভারেই রানের চাকা থমকে ছিল।
বাকিদের মাঝে নশটাশ কেনজিজও ছিলেন অনন্য, এই অর্থোডক্স স্পিনার একাই নিয়েছেন তিন তিনটি উইকেট। ক্যারিয়ারের এর আগে মাত্র চার উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। অথচ পাকিস্তানের মিডল অর্ডার একাই ধসিয়ে দিয়েছেন।
এছাড়া ব্যাটিংয়েও ছিল সুস্পষ্ট পরিকল্পনার ছাপ; অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল, অ্যারন জোন্স দারুণ সাবলীল ছিলেন ভি জোনে শট খেলার ক্ষেত্রে। বলের লাইন বুঝে কখনও দ্রুত স্ট্যান্স পরিবর্তন করেছেন, কখনও আবার জায়গায় দাঁড়িয়ে পেশি শক্তির ব্যবহার ঘটিয়েছেন। সবমিলিয়ে পরিকল্পিত ব্যাটিংয়ের পরিপূর্ণ প্রদর্শনী বটে।