দশে মিলি করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ – চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যখন একের পর এক লো স্কোরিং ম্যাচ একতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে প্রথমবারের মত ২০০ রানের গন্ডি পেরুলো অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নির্ধারিত বিশ ওভার শেষে ২০১ রান করতে সক্ষম হয়েছে তাঁরা। এর আগে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের কীর্তি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের দখলে, কানাডার বিপক্ষে ১৯৮ রান করেছিল দলটি।
তবে অবাক করার মত ব্যাপার, দুইশ পেরুনো ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি তো দূরে থাক চল্লিশ রানও করতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান কোন ব্যাটার – একেবারে নিঁখুত টিম পারফরম্যান্সের সুবাদেই মাইলস্টোন স্পর্শ করতে পেরেছে অজিরা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবাই কমবেশি অবদান রেখেছেন দলীয় সংগ্রহ বড় করার ক্ষেত্রে।
ওপেনিংয়ে ডেভিড ওয়ার্নার এবং ট্রাভিস হেড শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক। প্রথম পাঁচ ওভারেই ৭০ রান তুলেছিলেন দু’জন মিলে, যদিও ততক্ষণে ১৬ বলে ৩৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ওয়ার্নার। খানিক পরে অবশ্য ৩৪ রান করা হেডও একই পথ ধরেন – তবে রানের গতি হ্রাস পায়নি একটুও।
মাঝের ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল মার্শ খেলেছেন স্বভাবসুলভ আগ্রাসী মেজাজে। তাঁদের পঞ্চাশোর্ধ জুটির কল্যাণে পাহাড়সম পুঁজির কাছাকাছি পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। তখনো অবশ্য দুর্দান্ত একটা ক্যামিওর প্রয়োজন ছিল।
আর সেই কাঙ্খিত ক্যামিও এসেছে মার্কাস স্টয়নিসের ব্যাট থেকে, দুই চার ও দুই ছয়ের মারে মাত্র ১৭ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি। এছাড়া উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েড করেছেন ১০ বলে ১৭ – তাতেই চলতি বিশ্বকাপে প্রথম দুইশ পেরুনো ইনিংস দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব।
ম্যাচের আগে ওয়ার্নার সোজাসুজিই বলেছিলেন জোফ্রা আর্চার, মার্ক উডরা খুব একটা সমস্যায় ফেলতে পারবেন না অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের। ম্যাচে ঘটেছেও তাই; দু’জনে মিলে আট ওভার বল করলেও উইকেট পেয়েছেন কেবল একটি। এই যে নিজেদের উপর বিশ্বাস, এটাই অনন্য কর৯ তুলেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।