লেগ স্পিনাররা ক্রিকেট দুনিয়ার সবচেয়ে দুর্লভ শিল্পী। কবজির মোচড়ে তাঁরা ঘুরিয়ে দিতে পারেন ম্যাচের গতিপথ; একা হাতে লিখতে পারেন ম্যাচের ফলাফল। তাই তো প্রতিটা ক্রিকেট দলেই থাকে একজন লেগির জন্য হাহাকার, কিন্তু কেন তাঁদের নিয়ে এত মাতামাতি এমন প্রশ্ন যদি তৈরি হয় আপনার মনে তাহলে উত্তর জানার জন্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাডাম জাম্পার বোলিং দেখাটাই বোধহয় যথেষ্ট।
২০২৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন তিনি; ২৩ উইকেট ঝুলিতে পুরে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেরা বোলার। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ধারা ধরে রেখেছেন তিনি, প্রথম ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে দুই উইকেট শিকারের পর এবার ইংলিশ দুর্গ গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিন চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৮ রান খরচ করেছেন এই ডান-হাতি, বিনিময়ে নিয়েছেন দুইটি উইকেট। কেবল সংখ্যা বিবেচনায় এমন বোলিং ফিগার নেহাত সাদামাটা বটে, কিন্তু ম্যাচের প্রেক্ষাপটে তাঁর দুই উইকেটই ছিল কোহিনূর হিরার মত মূল্যবান।
অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেয়া ২০২ রানের টার্গেটে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল ইংল্যান্ড। দুই ওপেনার জশ বাটলার এবং ফিল সল্ট সাত ওভারেই ৭৩ রান আদায় করেছিলেন। ঠিক সে সময় আক্রমণে আসেন জাম্পা, এরপর প্রথম বলেই বোল্ড করেন সল্টকে! বহুল আকাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু পায় অজিরা। সেই ওভারে মাত্র তিন রান খরচ করেন তিনি।
তবু গলার কাঁটা হয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক বাটলার, তাঁকে একটা ছক্কা হাঁকিয়ে দারুণ কিছু করার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অজি স্পিনারের তাতে থোড়াই কেয়ার, পরের বলেই বাটলারকে প্যাভিলিয়নে ফেরার পথ দেখিয়ে দেন তিনি। টানা দুই ওভারে দুই সেট ব্যাটারের পতন ঘটার পরেই মূলত ম্যাচ থেকে দূরে সরে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
শেন ওয়ার্ন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সেরা পারফর্ম করেছেন, বড় টুর্নামেন্টে, চাপের সময় জ্বলে উঠেছেন; এই তারকাও হাঁটছেন একই পথে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের মতই আরও একটি বিশ্ব জয়ের মিশন সুন্দরতম উপায়ে শেষ করতে বদ্ধ পরিকর তিনি।