গত এক বছরে একাধিক পরিবর্তন হয় পাকিস্তান ক্রিকেটে। শুধু জাতীয় দলে নয়, পরিবর্তন আসে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেও। রমিজ রাজার স্থলে বোর্ডের চেয়ারম্যান হন মহসিন নাকভি। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর দলের অধিনায়কত্ব ছাড়া বাবর আজমকে আবার অধিনায়ক হিসেবে ফিরিয়ে আনেন তিনি।
দলে অন্তর্ভুক্ত করান মোহাম্মদ আমিরকেও। এত কিছুর পরেও পরিবর্তন হয়নি দলের পারফরম্যান্সের। আবারও ভারতের সাথে ৬ রানে হারের পর জাতীয় দলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন নাকভি।
এই হারের ফলে বিশ্বকাপের সুপার এইটে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায় পাকিস্তানের। ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমে কথা বলার সময় তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে, একটি ‘বড় পরিবর্তন’ এখন প্রয়োজন।
নাকভি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমি বিশ্বাস করেছিলাম যে দলে কিছু ছোট পরিবর্তনই যথেষ্ট হবে। তবে এমন দুর্বল পারফর্মেন্সের পরে এটি স্পষ্ট যে, একটি বড় সংশোধন প্রয়োজন। জাতি শীঘ্রই দলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখতে পারবেন।’
নাকভি আরও প্রকাশ করেন যে, পরাজয়টি প্রতিটি দিক থেকে হতাশজনক ছিল। তিনি দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও হারার কারণ সম্পর্কে যে সচেতন তাও নির্দেশ করেন।
তিনি মনে করেন, তার প্রাথমিক কাজ হবে দলের পারফরম্যান্স বাড়ানো। যা বর্তমানে সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে বলে তিনি মনে করেন। নাকভি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫ এর জন্য একটি ভাল দল প্রস্তুত করার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি মনে করেন এখন নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া উচিত।
বক্তব্যর শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে বিশ্বের সেরাদের মধ্যে একটি করে তোলার লক্ষ্য রাখি। জাতি তাদের কাছে এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্স আশা করেনা।’
টানা দুই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে থেকেই বিদায় নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে পাকিস্তান। সুপার এইটে উঠতে হলে পরবর্তী দুই ম্যাচে জেতার সাথে গ্রুপের অন্য ম্যাচগুলোর দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে গত আসরের ফাইনাল খেলা দলটিকে।