ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের পরাজয়ের কারণ খুঁজতে গেলেই শুরুর দিকে পাওয়া যাবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ইনিংস। সেদিন ৪৪ বলে ৩১ রান করার মধ্য দিয়ে ১২০ রানের লক্ষ্যকে কঠিন করে তুলেছেন তিনি। অথচ একশো ছুঁই ছুঁই স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করতে পারলেই জিততে পারতো।
অবশ্য ভুল শুধরে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন এই ব্যাটার। রোহিত শর্মার দলের বিপক্ষে যা করতে পারেননি সেটিই করেছেন তুলনামূলক খর্বশক্তির কানাডার বিপক্ষে। তাঁর হাফ-সেঞ্চুরিতে ভর করে টুর্নামেন্টের প্রথম জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
নিউইয়র্কের উইকেটে রান হয় ওয়ানডে গতিতে, অ্যাঙ্করিং এখানে আবশ্যক। তিনি নিজেও রয়ে সয়ে ব্যাটিং করতে পছন্দ করেন; তাই তো সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল। অথচ মর্যাদার ম্যাচে খলনায়ক হতে হয়েছিল তাঁকে।
যদিও সুপার এইটে কোয়ালিফাই করার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার কঠিন কাজটা এই ডান-হাতিই করেছেন। দুই চার ও এক ছয়ের সাহায্যে ৫৩ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি, তাতেই ১৫ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছুতে পেরেছে পাকিস্তান। সেই সাথে ওপেনার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলার রেকর্ডে রোহিতের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি।
অনুমেয়ভাবেই প্রথম থেকে দেখেশুনে খেলেছিলেন রিজওয়ান, পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ২০ বল মোকাবিলা করে মাত্র ১৬ রান করেছিলেন। তবে আগের ম্যাচের মত মাঝের ওভারে এবার আর ডট বল হজম করতে শুরু করেননি তিনি। বরং বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে স্ট্রাইক রোটেশন করেছেন, রানের চাকা সচল রেখেছেন।
সতেরোতম ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই উইকেটরক্ষক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে মন্থরতম অর্ধ-শতকের রেকর্ড এখন তাই তাঁর দখলে, এছাড়া বৈশ্বিক টুর্নামেন্টটিতে পাকিস্তানের হয়ে যুগ্ম সর্বোচ্চ পাঁচটি ফিফটি করেছেন তিনি।
নিউইয়র্কে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয় পেল পাকিস্তান, আর এমন জয়ের কারিগর এই তারকা ওপেনার। পুরনো ব্যর্থতা ভুলে, সমালোচনার চাপ কাঁধে নিয়ে যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করেছেন সেটা সত্যিই অসাধারণ। হারানো আত্মবিশ্বাসও নিশ্চয় এবার ফিরে পাবেন তিনি।