কেসি কার্টির উইকেট প্রাপ্তির প্রশংসা পেতেই পারেন তাসকিন আহমেদ। টেস্টে পরিকল্পনার ছক কষে বোলিং করতে হয়। সেই বিষয়টি যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। একেবারে ফাঁদ পেতে তুলে নিয়েছেন ক্যারিবিয়ান টপ অর্ডারের উইকেট।
এদিন উইকেট প্রাপ্তির যাত্রাটাও তিনিই শুরু করেছেন। প্রথম উইকেট হিসেবে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে ফিরিয়েছেন সাজঘরে। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছিলেন তাকে। তবে একটু বাড়তি আলোকপাত করা প্রয়োজন দ্বিতীয় উইকেটে।
ক্রমাগত অফ স্ট্যাম্পের বাইরে বল করে যাচ্ছিলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু শর্ট মিডউইকেটে তিনি একটা ফিল্ডার সেট করেই রেখেছিলেন। তাসকিন সম্ভবত জানতেন ভেতরে বা স্ট্যাম্প বরাবর বলে দুর্বলতা রয়েছে কেসি কার্টির। সে ফাঁদটাই তিনি পেতেছেন।
ক্রমাগত অফ স্ট্যাম্প চ্যানেলে ইনসুইং ও আউটসুইং বোলিং করে গেছেন তাসকিন। ফ্রন্ট ফুটে সেট করে ফেলেছিলেন কেসি কার্টিকে। কেসি নিজেও জানতেন কোন একটা বল সোজা স্ট্যাম্প বরাবর চলে আসবে, কিংবা সুইং করে স্ট্যাম্প চ্যানেলে ঢুকবে।
এর আগে একটি বল ব্যাটের ভেতর দিককার খোঁচা লেগে শর্ট মিডউইকেট ফিল্ডারের কাছে পৌঁছেছিল মাটিতে গড়িয়ে। কিন্তু উইকেট প্রাপ্তির বলটা সোজা স্ট্যাম্প বরাবর গিয়েছিল। খানিকটা গ্রিপও করেছিল উইকেটে। কেসি আলতো করে ব্যাটটা ঘুরিয়ে লেগে ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু বলটা প্রত্যাশার খানিক পরে গিয়ে পৌঁছায় ব্যাটে। আর বল চলে যায় সোজা তাইজুল ইসলামের হাতে। পরিকল্পনামাফিক বল ছুড়তে পারাটাই টেস্ট ক্রিকেটের আসল সৌন্দর্য। ব্যাটারের মস্তিষ্কের সাথে ছেলেখেলা করতে হয় বোলারদের। লাল বল যে সহজেই উইকেট এনে দিতে চায় না কখনোই। এ যাত্রা তাসকিনের পরিকল্পনা মাফিক ছোড়া বলটা তাকে আর হতাশ করল না।