ট্রাভিস হেড যেন থামছেনই না। তাঁর ধ্বংসযজ্ঞ যেন শুরু হয়েছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দূর্দান্ত এক মৌসুম কাটিয়ে, সেই ফর্ম নিয়েই যেন বিশ্বকাপে প্রবেশ করেছেন হেড।
প্রথম ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ভাল শুরু করতে না পারলেও, নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের আক্রমনাত্মক খেলা শুরু করেন হেড। সেই ম্যাচে তার মারমুখী ব্যাটিংয়ের শিকার হয় ইংলিশ বোলররা। সেইদিন যেখানে ছেড়েছিলেন আজ যেন আবার সেখানে থেকেই শুরু করলেন নামিবিয়ার বিপক্ষে।
মাত্র ৭৩ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়ার বোলরদের উপর চড়াও হন হেড। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে পরপর দুইটি চার ও একটি ছক্কা হাকিয়ে ওয়ার্নার আউট হলে আক্রমণ শুরু করেন তিনি। তৃতীয় ওভারে নামিবিয়ার বোলার শিকনগোর উপর চড়াও হন এই বাঁ হাতি ব্যাটার। টানা তিন বলে তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। দুইটা চার ও একটি ছক্কায় সেই ওভার শেষ করেন তিনি। পরের ওভারে আবারও অধিনায়ক জারহার্ড ইরাসমাসের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান হেড।
এখানেই থেমে থাকেননি না তিনি। পঞ্চম ওভারে বল করতে আসা রুবেন ট্রাম্পেলম্যানকেও পরপর তিন বলে তিনটি বাউন্ডারি হাকান হেড। পাঁচ ওভার শেষে ১৭ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্য ৩৪ রান করে ফেলেন তিনি। যেখানে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল দুইশোর কোঠায়। পরের ওভারে বাকি কাজটা সেরে ফেলেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ।
জ্যাক ব্রাসেলের বলে তিনটি বাউন্ডারি হাকিয়ে ইনিংস শেষ করে ফেলেন তিনি। এতে পাওয়ার-প্লে শেষ না হতেই লক্ষ্যে পৌছে যায় অস্ট্রেলিয়া। ফলে অপর প্রান্তে ৩৪ রানেই অপরাজিত থাকতে হয় হেডকে।
প্রথম ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ১২ রানে ফিরলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেই নিজের স্বরুপে ফেরেন তিনি। ১৮ বলে তিন ছক্কা ও দুই চারের সাহায্যে ৩৪ রান করেছিলেন সেই ম্যাচে। আজকে আবারও নামিবিয়ার বিপক্ষে নিজের আক্রমনাত্মক ব্যাটিং দক্ষতার পরিচয় দিলেন ট্রাভিস হেড।
তিন ম্যাচে তিন জয় নিয়ে সুপার এইটে যাওয়া নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার। তাই পরের ম্যাচে হয়তো আরও আক্রমনাত্মক ব্যাটিং এর প্রদর্শন দেখাতে পারেন হেড। সুপার এইটেও যে বোলারদের জন্য তিনি ত্রাস হবেন তা বলার অপেক্ষা থাকে না।