পাওয়ার প্লে চলমান, লেগ সাইডের বাউন্ডারিতে একজন মাত্র ফিল্ডার, লিটন দাস অনেক খুঁজে সেই ফিল্ডারের হাতেই ক্যাচ তুলে দিলেন। অনেক অনেকবার এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে, সমর্থকদের বিরক্তি চরমে পৌঁছে গিয়েছে। তবু শুধরাননি তিনি, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একই কায়দায় আউট হলেন।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তখন মাত্র এক বল খেলেছিলেন এই ব্যাটার, ইনিংসের চতুর্থ ওভার চলমান। অন্যপ্রান্তে তানজিদ হাসান তামিম দারুণ ব্যাটিং করছিলেন, সবমিলিয়ে তাই চাপে থাকার কোন কারণ নেই। তবু হন্তদন্ত হয়েই তিনি সুইপ শট খেলার চেষ্টা করলেন, খানিকটা একস্ট্রা বাউন্সের সুবাদে ব্যাটের মাঝখানে না লেগে বল লাগলো উপরের অংশে।
এরপরের গল্পটা সাইব্রান্ড এঞ্জেলব্রেখটের, টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ক্যাচই ধরেছেন স্কয়ার লেগ অঞ্চলে। ফলে ২ বলে ১ রান করে বিদায় নিতে হয়েছে টাইগার উইকেটরক্ষককে। সেই সাথে পাওয়ার প্লের মধ্যে তাঁর ধারাবাহিকভাবে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়ার সমস্যা দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করেছে।
কিন্তু এতটুকুতে শেষ নয়, চলতি বিশ্বকাপে লিটনকে ঘিরে নতুন দুশ্চিন্তাও করতে হচ্ছে টিম ম্যানেজম্যান্টকে। কেননা টানা তিন ম্যাচে স্পিনারদের বিপক্ষে পরাস্ত হয়েছেন তিনি, এছাড়া রান করার ক্ষেত্রেও স্পিনের বিপক্ষে স্বাচ্ছন্দ্যে নেই।
এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে মোট ২৫ বার স্পিন বল খেলতে হয়েছে তাঁকে। এসময় তিনবার আউট হওয়ার বিনিময়ে মাত্র ২০ রান করতে পেরেছেন। অর্থাৎ স্পিনারদের বিপক্ষে ব্যাটিং গড় ৬.৬৭ এবং স্ট্রাইক রেট ৮০!
লিটন দাস নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের সবচেয়ে বড় নামগুলোর একটি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গুরত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার পর প্রত্যাশা দ্বিগুণ হয়েছিল তাঁকে নিয়ে, যদিও সবসময়ের মতই ধারাবাহিক হতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তবে বিশ্ব মঞ্চে টাইগার বাহিনীকে ভাল করতে হলে তাঁর ব্যাটে রান বড্ড প্রয়োজন, কিন্তু স্পিন বলে এভাবে ধুঁকতে থাকলে সেটা হবে কিভাবে?