নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতেই ইউরো ২০২৪ এর অভিযান শুরু করল ফ্রান্স। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ১-০ তে জয়ের গোলটি অবশ্য আসেনি কোনো ফ্রান্স খেলোয়াড়রের পা থেকে। অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডার ম্যাক্সিমিলিয়ান ওবারের ভুলে গোলটি পায় ফ্রান্স। নিজেদের জালে নিজেই গোল করেন এই ডিফেন্ডার।
এদিন শুরুর একাদশে দেখা যায় ফ্রান্সের অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। তবে অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডার কেভিন ড্যানসোর সাথে সংঘর্ষের পর নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে তাঁর। ফলে ৯০ মিনিটে তাঁকে পরিবর্তন করেন কোচ দিদিয়ের দেশম।
ম্যাচটি এমবাপ্পের জন্য খুব একটা ভাল না গেলেও না তিন পয়েন্ট অর্জনে মূল ভূমিকা ছিল তাঁরই। ম্যাচের প্রথম অর্ধ শেষ হওয়ার ৭ মিনিট আগে বিপক্ষ দলের ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে। তাঁর বলটি ক্লিয়ার করতে গিয়েই নিজের জালে বল ঢুকিয়ে ফেলেন ডিফেন্ডার ওবার।
তবে এর কিছুক্ষণ আগেই অস্ট্রিয়া তাঁদের সেরা সুযোগটি মিস করে। কাছে থেকে নেওয়া ক্রিস্টোফ বামগার্টনারের শট আটকে দেন ফ্রান্স গোলরক্ষক মাইক ম্যাগনান। স্প্যানিশ রেফারি জেসুস গিল কর্নারের বদলে গোল কিক দিলে আরও হতাশা বাড়ে তাঁদের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আহত হন গ্রিজম্যান। বল দখলেই লড়াইয়ে বিপক্ষ দলের ডিফেন্ডার তাঁকে ঠেলে দিলে সাইনবোর্ডে গিয়ে ধাক্কা খান তিনি। ফলে কপাল কেটে গিয়ে রক্তপাত হয় তাঁর। তবে মাথায় ব্যান্ডেজ বেধে কিছুক্ষণ পরেই মাঠে ফেরেন তিনি।
ম্যাচের ৫৫ মিনিটে সব থেকে বড় সুযোগ হাতছাড়া করেন এমবাপ্পে। তাঁর গতিকে কাজে লাগিয়ে একাই বল টেনে নিয়ে যান বিপক্ষ দলের বক্সে। তবে গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। গোল বারের বাহিরে শট নেন এমবাপ্পে । যা দেখে মাথায় হাত দিয়ে বসেন কোচ দিদিয়ের দেশম।
এরপর আরও কিছুক্ষণ আক্রমণ চালালেও আর গোলের দেখা পায়নি ফ্রান্স। ফলে ১-০ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
২০১৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলটির কাছে হয়ত এর থেকে বেশি আশা করেছিলেন ভক্তরা। তবে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেননি দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা। ২২ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গ্রুপ পর্যায়ের সব থেকে কঠিন ম্যাচটি খেলতে নামবে এমবাপ্পে ও তার সতীর্থরা।