এবার মূদ্রার উল্টো পিঠে ট্রাভিস হেড

২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল, অস্ট্রেলিয়াকে প্রায় কুপোকাত করেই ফেলেছিল ভারত। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে একজন প্রতিরোধ গড়েছিলেন, তিনি ট্রাভিস হেড। সেদিন তাঁর অনবদ্য ব্যাটিংয়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারেনি ভারতীয় বোলাররা, তাঁকে কোন জবাব দিতে পারেনি। অতিমানবীয় এক ইনিংসে ভর করে ভারতের হাতের মুঠো থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন তিনি।

বছর ঘুরেই আরেকটা বিশ্বকাপ, এবার অস্ট্রেলিয়া আর ভারত মুখোমুখি হয়েছে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে। প্রিয় প্রতিপক্ষকে নাগালে পেয়ে এবারও জ্বলে উঠলেন অজি ওপেনার; কতটা বিধ্বংসী হতে পারেন তিনি সেটাই যেন আরো একবার মনে করিয়ে দিলেন।

এদিন ৪৩ বলে ৭৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন এই বাঁ-হাতি। নয় চারের পাশাপাশি চারটি ছয়ের মারে সাজানো ইনিংসটি অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য যথেষ্ট না হলেও ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় ভক্তদের হৃদয়ে। তবে তাঁর এমন ব্যাটিং সবচেয়ে গুরুত্বপূ্র্ণ যে কাজ করেছে তা হলো দলের নেট রান রেট ভদ্রস্থ রেখেছে।

প্রথম ওভারেই ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল অজিরা, কিন্তু হেডের তাতে থোড়াই কেয়ার। জাসপ্রিত বুমরাহকে তিন চার হাঁকিয়ে আগ্রাসনের শুরু তাঁর; এরপর হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেলদের ওপর ঝড় বইয়ে দিয়েছেন তিনি। ফলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিতে স্রেফ ২৪ বল অপেক্ষা করতে হয়েছে তাঁকে।

কিন্তু অন্যপ্রান্তে সতীর্থদের কাছ থেকে ঠিকঠাক সমর্থন পাননি এই ব্যাটার। মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বলার মত পার্টনারশিপ গড়েছেন তবে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু করতে পারেননি। তাই তো একটা সময় রানের চাপ বেড়ে আকাশসম হয়, আর সেই চাপে পড়ে নিজের উইকেট দিয়ে আসেন তিনি।

মার্শ, কামিন্সদের দল সেমিফাইনালে যাবে কি না সেজন্য তাঁদের এখন তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানের দিকে। নেট রান রেটের কল্যাণে তাঁরা সেমিফাইনালে জায়গা পেলে ট্রাভিস হেডকেই সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দিতে হবে। তবে সেরা চারে উঠতে না পারলেও তাঁর বীরত্ব ম্লান হবে না একটুও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link