ব্যাটিং কোচ খোঁজার মিশনটা খুব চমৎকার ভাবেই শেষ করলে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ)। নিয়োগ দেওয়া হয়েছে চান্দিকা হাতুরুসিংহেকে। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সাবেক এই কোচ দলটাকে খুব ভাল ভাবেই চেনেন। কারণ, সেখানে তিনি ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল অবধি কাটিয়েছেন।
গেল গ্রীস্মে ব্লুজদের ব্যাটিং কোচের পদ ছাড়েন মাইকেল ইয়ার্ডি। এরপর থেকে ফাঁকাই ছিল জায়গাটা। হাতুরুসিংহে যোগ দেওয়ায় শূণ্যস্থান পূরণ হল। এখন এনএসডব্লিউয়ের কোচিং দলটা বেশ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। হাতুরুসিংহের সাথে আছেন প্রধান কোচ ফিল জ্যাকস, বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস ও স্পিন বোলিং কোচ অ্যান্থনি ক্লার্ক।
এক বিবৃতিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন হাতুরুসিংহে। তিনি বলেন, ‘এনএসডব্লিউতে আমার পূর্ব-অভিজ্ঞতা বলে এটা কাজ করার জন্য অন্যতম সেরা জায়গা। সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হল এখানে থেকে অনেক প্রতিভা উঠে আসে। মাইকেল ক্লার্ক, ব্র্যাড হাডিন ও শেন ওয়াটসনের মত অভিজ্ঞরা যেমন আছেন, তেমনি স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, পিটার নেভিল, মোজেস হেনরিক্স, কার্টিস প্যাটারসনের মত তরুণরা আছেন। তাদের ক্রিকেট সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে নিয়ে তাঁদের সাথে কাজ করতে পারাটা আমার জন্য সম্মানের ব্যাপার।’
বাংলাদেশকে ২০১৪ থেকে ২০১৭ অবধি কোচিং করান চান্দিকা। সাফল্যও নেহায়েৎ কম নয়। বাংলাদেশ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলে। সিরিজ জয় করে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সাফল্য যেমন পেয়েছেন তেমনি দল নির্বাচনে অত্যধিক হস্তক্ষেপ করায় সমালোচিতও হয়েছেন।
অপেশাদার কায়দায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাথে চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই যোগ দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা দলের কোচ হিসেবে। তবে, সেই যাত্রাটা ছিল আরো বাজে। বাজে পারফরম্যান্স, বরখাস্ত হওয়া ও মামলা-মোকদ্দমার মধ্য দিয়ে সেই অধ্যায় শেষ হয়।
হাতুরুসিংহে মানছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা তাঁর কাজে লাগবে। বললেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোচি করানোয় আমি অনেক আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। আশা করি ব্লুজদের হয়ে আমি সেই কৌশলগুলো কাজে লাগাতে পারবো।’
জানিয়ে রাখা ভাল, চান্দিকা হাতুরুসিংহে দল বিগ ব্যাশে সিডনি থান্ডার দলেরও কোচ ছিলেন। আর এর আগে তিনি বিভিন্ন মেয়াদে কাজ করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কানাডা ক্রিকেট দলের সাথেও।