দূর্বার গতিতে উড়ছেন লাউতারো

তিন ম্যাচে চার গোল। লাউতারো মার্টিনেজ উড়ছেন আপন গতিতে। গা থেকে ঝেড়ে ফেলেছেন ব্যর্থতার সকল কালিমা। আর্জেন্টিনাকে আরও একটি শিরোপা জেতাতে যেন বদ্ধপরিকর তিনি। তাইতো ধূর্ত শিকারির মত গোল শিকারের কোন সুযোগই হাতছাড়া করছেন না। মেসি বিহীন দলের জয়ের নায়ক আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার।

চলতি কোপা আমেরিকায় দুই ম্যাচে দুই জয়ে উড়ন্ত সূচনা করেছে আর্জেন্টিনা। ফলে সর্বপ্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রবেশ করেছে তাঁরা। তাই গ্রুপ পর্বের সর্বশেষ ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে শুরুর একাদশে লিওনেল মেসি সহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েছে তাঁরা।

চিলির বিপক্ষে ম্যাচে কিছুটা ইঞ্জুরি সমস্যায় ভোগেন লিওনেল মেসি। তাই পেরুর বিপক্ষে শেষ ম্যাচ যে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হবে তা অনুমেয় ছিল। তবে ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে খেলতে থাকে মেসি বিহীন আর্জেন্টিনা। মাঠে একক আধিপত্য বিস্তার করতে দেখা যায় তাঁদের।

তবে ৮০ শতাংশ বল দখল করেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি আর্জেন্টিনা। ১২ মিনিটে মেসির বদলি হিসেবে শুরুর একাদশে খেলা ডি মারিয়ার কর্নার থেকে নেওয়া শটটি জালে জড়াতে ব্যর্থ হয় ওতামেন্ডি। ২৬ মিনিটে দলের প্রথম বড় সুযোগ তৈরি করেন পারাদেস। তবে ফ্রি কিক থেকে করা তাঁর অসাধারণ শটটি আটকে দেন পেরুর গোলরক্ষক গ্যালেসে।

পেরু বল দখল না পেলেও তাঁদের রক্ষণবিভাগ ধরে খেলতে থাকে। আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরাও পেরুর রক্ষণের বিশেষ কোনো পরীক্ষা নিতে ব্যর্থ হয়। ৪৪ মিনিটে এসে দারুণ একটি সুযোগ মিস করে লো সেলসো। তবে সেখানে কৃতিত্ব দিতে হয় পেরুর গোলরক্ষক গ্যালেসের৷ ফলে কোনো গোলের দেখা ছাড়াই প্রথমার্ধ শেষ করতে হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেরুর রক্ষণ ভাঙতে সক্ষম হয় ডি মারিয়া-লাউতারো মার্টিনেজ জুটি। ডি মারিয়ার পাস থেকে পেরুর জালে বল ঢুকাতে কোনো ভুল করেনি চলতি আসরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মার্টিনেজ। ৫৫ মিনিটে আবারও পেরুর জালে বল পাঠায় আলবি সেলেস্তারা। তবে পেরুর গোলরক্ষককে করা লো সেলসো ফাউলের ফলে ত্যাগলিয়াফিকোর সেই গোলটি বাতিল করে রেফারি।

৭০ মিনিটে বক্সে পেরুর খেলোয়াড়ের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় পারাদেস। সেসব ছাপিয়ে ম্যাচের ৪ মিনিট বাকি থাকতে আবারও গোল করেন মার্টিনেজ। চলতি কোপা আমেরিকায় টানা তিন ম্যাচে চতুর্থ গোল করেলেন আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড।

ফলে ২-০ ব্যাবধানে জয় নিয়েই ম্যাচ শেষ করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে ৩ ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে থেকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে পেরু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link