অপরাজিত থেকেই কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ফ্রান্স, কিন্তু মজার ব্যাপার তাঁদের ফুটবলাররা এখন পর্যন্ত গোল করেছেন মোটে একটি! সেটাও আবার ওপেন প্লে থেকে আসেনি, বরং স্পট কিক থেকে জালের দেখা পেয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। নিজেরা এক গোল করলেও প্রতিপক্ষের কাছ থেকে গোল উপহার পেয়েছে দু’বার। অবিশ্বাস্য মনে হলেও ব্যাপারটি সত্য – আত্মঘাতী গোলে ভর করেই চলতি ইউরোতে এতদূর আসলো তাঁরা।
কিলিয়ান এমবাপ্পে ছাড়াও দলটির ফরোয়ার্ড লাইনে আছেন ওসমান ডেম্বেলে, অলিভার জিরুড, অ্যান্টনি গ্রিজম্যানের মত পরীক্ষিত তারকা। আবার মার্কাস থুরাম, কোলো মুয়ানি কোন অংশে কম নন। কিন্তু মাঠের খেলায় তাঁরা কেউই জ্বলে উঠতে পারলেন না এখনো, প্রতিপক্ষের ডিফেন্স লাইনকে ফাঁকি দিয়ে গোল করতে পারলেন না।
অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে ১-০ গোলে জয় পেয়েছিল ফ্রান্স। সেই ম্যাচে অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার ম্যাক্সিমিলিয়ান ওয়েবার এমবাপ্পের ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালেই বল ঠেলে দেন। পরের ম্যাচে শক্তিশালী নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অবশ্য কোন গোলই পায়নি দলটি, যদিও সেদিন মাঠে ছিলেন না সদ্য সাবেক পিএসজি স্ট্রাইকার।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শত চেষ্টা করেও পোল্যান্ডের রক্ষণে দাগ কাটতে পারেনি ফরাসিরা, তবে ৫৬ মিনিটে পেনাল্টির সুবাদে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়। নক আউট পর্বেও দলটির গোলখরা কাটেনি, বেলজিয়ামের বিপক্ষে ভারটংহ্যানের আত্মঘাতী গোলই ব্যবধান গড়ে দিয়েছিল।
ফ্রান্সের এমন দুরাবস্থার মূল কারণ অভিজ্ঞ ফুটবলারদের অফ ফর্ম। সাম্প্রতিক সময়ে গ্রিজম্যান তো নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন, ডেম্বেলে উইং ধরে গতির ঝড় তুললেও গোলের উৎস হতে পারেননি। বাকিদের মাঝেও শূন্যতা পূরণের তাড়না নেই – বলার মত কেবল অধিনায়ক নিজেই সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করছেন।
কিন্তু বড় দলের বিপক্ষে এটা কি যথেষ্ট হবে? কোয়ার্টার ফাইনালেই তো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের মুখোমুখি হবে তাঁরা। সেদিনও কি আত্মঘাতী গোল কিংবা পেনাল্টির আশায় থাকবে দলটি নাকি নিজেরাই গোল করবে – সেটাই এখন দেখার বিষয়।