নব রূপে আবির্ভূত হবে ভারত

তেরো বছরের অপেক্ষা শেষে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত, ২০১১ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটে বিশ্ব জয়ের পর ২০২৪ সালে এসে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে চ্যাম্পিয়ন হলো তাঁরা। তবে এখানেই থেমে যাওয়ার সুযোগ নেই; নতুন উদ্যমে এখান থেকেই পথচলা শুরু করবে দলটি। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে অতীত ঝেড়ে ফেলে নব রূপে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে তাঁরা, যেখানে তারুণ্যের আধিপত্য থাকবে বেশি।

বিশ্বকাপ জয়ের পরপরই রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি আর রবীন্দ্র জাদেজা নিজেদের অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। তাই এক নিমিষেই মূল একাদশের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্পট ফাঁকা হয়ে গেলো। ফলে একদিকে যেমন টপ অর্ডারকে ঢেলে সাজাতে হবে তেমনি টিম কম্বিনেশনেও বড়সড় পরিবর্তন অনিবার্য।

বিরাট আর রোহিতের জায়গায় খেলানোর জন্য অবশ্য যথেষ্ট বিকল্প রয়েছে ভারতের হাতে। যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমান গিল তো এখন স্কোয়াডের আশেপাশেই আছেন। ম্যানেজম্যান্টের প্রথম পছন্দেও থাকবে এই দুইটি নাম। এছাড়া অভিষেক শর্মা, রুতুরাজ গায়কড়ের মত সম্ভাবনাময়ী তরুণেরা আছেন ভাবনায়।

আবার চাইলে সঞ্জু স্যামসনকে তাঁর প্রিয় তিন নম্বর পজিশনে খেলানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কপাল খুলবে আরেক উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেলের। ব্যাকাপ মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে হয়তো জাতীয় দলে জায়গা পাবেন তিনি। তবে তিনি সুযোগ পান আর না পান, রিংকু সিং অবশ্যই পাবেন। বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে ভারত যে কয়েকজনের ওপর সবচেয়ে বেশি ভরসা করতে যাচ্ছে তাঁদের একজন এই রিংকু।

অন্যদিকে জাদেজার শূন্যস্থান পূরণে ওয়াশিংটন সুন্দরের নাম সবার আগে আসবে। সাম্প্রতিক ফর্ম ভাল না হলেও অভিজ্ঞতা বিবেচনায় তাঁর ওপর নজর রাখবে টিম ইন্ডিয়া; সেই সাথে পর্যাপ্ত সুযোগও দেয়া হবে তাঁকে। সেসব সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে একাদশে তিনি প্রায় নিশ্চিত।

এছাড়া ২০২৬ বিশ্বকাপে যুজবেন্দ্র চাহালের বয়স হবে ৩৫ বছর, সেজন্য তাঁর পরিবর্তে খুব সম্ভবত রবি বিষ্ণয়কে ঘিরে নতুন পরিকল্পনা সাজাবে ভারত। কিন্তু সেজন্য আগে তাঁকে ছন্দে ফিরতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link