বিশ্বকাপের শিরোপা উদযাপনের রেশ এখনো কাটেনি, আর এর মাঝেই বেশ বড় ধরণের অঘটনের স্বীকার হতে হলো সদ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ভারতকে।পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১৩ রানের জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।
খেলাটা যে ক্রিকেট, তার উপর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট; অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। তবে ভারতের এমন পরাজয়ের ধারণা ছিল না কারোরই। বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা যখন বিজয়ের উল্লাসে ব্যস্ত; ঠিক তখনই হারারেতে খর্ব শক্তির জিম্বাবুয়ের কাছে হোচট খেয়ে বসলো শুভমান গিল-অভিষেক শর্মারা।
টসে জিতে দলপতি গিল ব্যাটিংয়ে পাঠায় সিকান্দার রাজার জিম্বাবুয়েকে। তাঁরা ১১৫ রানে থামিয়েও দেয় ওয়েলিংটন মাসাকাদজাদের। যেখানে বল হাতে রবী বিষ্ণয় করেন তাঁর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে তুলেন ৪ টি উইকেট, ৩.২৫ ইকনোমিতে খরচ করেন ১৩ রান। আর সেই চার ওভারের দুটিতেই করেন মেইডেন ওভার। এক কথায় অনবদ্য ছিলেন ভারতের এই স্পিনার।
অভিষেক শর্মা, রিয়ান পরাগ আর ধ্রুব জুরেল ভারতের হয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি খেলতে নামেন। তবে স্বল্প লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন ভারতের ব্যাটাররা। রুতুরাজ গাইকোয়াড়দের শিবিরে ত্রাস হয়ে আবির্ভাব ঘটে সিকান্দার রাজা এবং টেন্ডাই চাতারাদের। এই দুই বোলারই তুলে নেন মোট ছয় উইকেট।
ইনিংসের প্রথম পাঁচ ওভার যেতে না যেতেই ভারত টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারায়। চাতারা এবং রাজার বোলিং নৈপূণ্য ধরাশায়ী হয় ভারত। মাত্র ১০২ রানেই অলআউট হয়ে যায় শুভমান গিলের বাহিনী, এমনকি পূর্ণ ২০ ওভারও খেলতে পারেননি তাঁরা।
যদিও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের কেউ ছিলেন না ভারতের এই স্কোয়াডে। তাঁরা সবাই এখন ভারতে শিরোপা উদযাপনে ব্যস্ত। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভারতের এই নির্মম পরাজয় নিঃসন্দেহে চমকে ওঠার মত। ভারতের ভবিষ্যত এখন কতটুকু নিরাপদ হাতে রয়েছে তা এখন চিন্তার বিষয় হতে পারে।