মহেন্দ্র সিং ধোনি কি চেন্নাইয়ের সাথেই থাকছেন, নাকি নেই – এই প্রশ্নের আদৌ কোনো সূরাহা হয়নি। সেই ২০০৮ সাল থেকে যে দলটাতে তিনি খেলছেন, তাঁদের সাথে কি সম্পর্ক ছিন্ন হতে চলেছে মাহির? এমন প্রশ্ন ভাসছে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দরমহলে।
ক্রিকেট বিষয়ক ভারতীয় গণমাধ্যম ক্রিকবাজ জানিয়েছে, চেন্নাই সুপার কিংসের সাথে আলোচনায় বসেছেন ধোনি। খোদ চেন্নাইয়ের মালিক এন শ্রীনিবাসনের সাথেও তাঁর নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখান থেকে বোঝা গেছে, আসন্ন আইপিএল মৌসুমে কতজন ক্রিকেটারকে চেন্নাই ধরে রাখতে পারবে – তার ওপর নির্ভর করছে ধোনির ভাগ্য।
যদি, অন্তত পাঁচ বা ছয়জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার সুযোগ থাকে চেন্নাইয়ের তাহলে, আবারও চেন্নাইয়ের জার্সিতে মাঠে নামবেন ধোনি। আপাতত অধিনায়কত্ব নিয়ে চেন্নাইয়ের কোনো সংকট নেই। গেল মৌসুমে দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের সক্ষমতার ছাপ রেখেছেন রুতুরাজ গায়কড়। ফলে, অধিনায়কত্বের জন্য আর ধোনির ওপর নির্ভরশীল নয় চেন্নাই।
ব্যাটার কিংবা ফিনিশার হিসেবে ধোনি তাঁর সোনালি সময় হারিয়ে ফেলেছেন। তবে, উইকেটের পেছনে এখনও তিনি দলের সেরা। মানে, এখানে তাঁর দক্ষতায় তেমন একটা কমতি দেখা যায় না। আর এটা এখনও সত্যি যে – মাঠে ধোনির উপস্থিতি যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। ধোনি বুদ্ধিদীপ্ত অবদান একটা দলের জন্য কতটা জরুরি – সেটা চেন্নাইয়ের চেয়ে ভাল আর কেউই জানে না।
তাই, ধোনির ব্যাপারে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি চেন্নাই। অধিনায়ক রুতুরাজ ছাড়াও রবীন্দ্র জাদেজা, মাথিশা পাথিরানা ও শিভাম দুবেকে আগামী মৌসুমেও রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আইপিএলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফ্র্যাঞ্চাইজির। এখন সংখ্যাটা আইপিএল কর্তৃপক্ষ পাঁচে নিলেই সেখানে থাকবেন ধোনি। না হলে, ভারতীয় ক্রিকেটে ধোনি অধ্যায়ের এখানেই ইতি। ছয়জনকে ধরে রাখার সুযোগ থাকলে ধোনির সাথে বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমানকেও রিটেইন করতে পারে চেন্নাই।
কতজন খেলোয়াড় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ধরে রাখতে পারবে – সেটা জানার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সাথে আসছে ৩১ জুলাাই, বসবে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মালিকপক্ষ। সেখানে চেন্নাইয়ের পক্ষ থেকে থাকার শ্রীনিবাসনের মেয়ে রূপা গুরুনাথের থাকার কথা। অপেক্ষা আপাতত তাই ৩১ জুলাইয়ের!