হার্দিক পান্ডিয়াকে হুট করে দলে আনা, এরপর অধিনায়কের চেয়ারে বসানো – মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এমন সব সিদ্ধান্তের পর পরই রোহিত শর্মার সাথে দলটির সুসম্পর্ক নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে সেই সংশয় কেবল বেড়েছে। এমনকি আইপিএলের আগামী আসরে তাঁকে মুম্বাইয়ের জার্সিতে দেখা যাবে না এমন গুঞ্জনও দেখা দিয়েছে।
সত্যিই যদি তাই হয়, সেক্ষেত্রে রোহিতকে দলে নিতে কাড়াকাড়ি হতে পারে একাধিক ফ্রাঞ্চাইজির মাঝে। তাঁর বয়স এখন ৩৭, অন্তত আরো দুই বছর তিনি যেকোনো দলকে একইসাথে একজন ভাল ব্যাটার ও ভাল অধিনায়কের সেবা দিতে পারবেন।
হিটম্যানের প্রতি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ সম্ভবত পাঞ্জাব কিংসের। দলটিতে কোন আইকনিক ক্রিকেটার নেই, সুনির্দিষ্ট অধিনায়কও নেই; তাই তাঁকে স্কোয়াডে ভেড়াতে পারলে অনেক দিক থেকেই লাভবান হবে প্রীতি জিনতার দল। এছাড়া রোহিতের বিশাল ভক্তগোষ্ঠী তখন পাঞ্জাবের সমর্থক হয়ে উঠবে, যেটি নি:সন্দেহে স্পন্সরশিপে প্রভাব রাখবে।
লখনৌ সুপার জায়ান্টসও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে এই তারকার ওপর। গুঞ্জন রয়েছে লোকেশ রাহুলকে ছেড়ে দিতে পারে তাঁরা, সেক্ষেত্রে ভারতের ওয়ানডে ও টেস্ট কাপ্তান হতে পারেন ‘পারফেক্ট রিপ্লেসমেন্ট’। নিকোলাস পুরান থাকায় উইকেটকিপিং নিয়েও ভাবতে হবে না তাঁদের।
একই প্রেক্ষাপট রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসেও; টপ অর্ডারে ডেভিড ওয়ার্নার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছেন; অন্যদিকে পৃথ্বী শ এখনো ধারাবাহিক হয়ে উঠতে পারেননি। তাই তাঁদেরও রোহিত শর্মার মত একজন ওপেনারের বড্ড প্রয়োজন। তাছাড়া ঋষাভ পান্তকে বিদায় বলে দিতে পারে দিল্লী, আর সেটা হলে একজন অধিনায়কেরও প্রয়োজন হবে।
এরা ছাড়াও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের পরিকল্পনায় আছেন রোহিত শর্মা। স্বদেশী একজন কিংবদন্তির হাতে কাপ্তানের ব্যাটন দেখতে চায় দলটির ম্যানেজম্যান্ট এবং সমর্থকেরা। যদিও টপ অর্ডার নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই তাঁদের। তাই রোহিতকে দলে ভেড়ালে কাকে রেখে কাকে খেলানো হবে এমন মধুর সমস্যা সৃষ্টি হবে।