সমাপ্তি ঘটতে চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এবং খেলোয়াড়দের মধ্যকার কেন্দ্রীয় চুক্তির লড়াইয়ের। দীর্ঘ নাটকীয়তার পরে পিসিবি’র নীতি নির্ধারকেরা অবশেষে কেন্দ্রীয় চুক্তির চূড়ান্ত সমাধানে পৌছাতে পেরেছেন। দুই প্রধান কোচ গ্যারি কার্স্টেন এবং জেসন গিলেস্পির সাথে আলোচনার পরেই সিদ্ধান্তে পৌছেছে পিসিবি। থাকছে একাধিক চমকও।
ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পুরষ্কার পাচ্ছেন নাসিম শাহ। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে বড় লাফ দিয়ে বাবর, শাহীনদের সাথে জায়গা করে নিচ্ছেন ‘এ’ ক্যাটেগরিতে। বিপরীত চিত্রের দেখা মিলতে যাচ্ছে শাদাব খানের ভাগ্যে। অবনমিত হয়ে যায়গা পাবেন নতুন তারকাদের সাথে ক্যাটেগরি ‘সি’ তে।
অবশ্য শাদাবের অবনমন অনুমিতই ছিল। গত কয়েক বছর ধরেই ফর্মের ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না তার পারফরম্যান্সে। অনেকটা যেন নিজের নামের ভার আর বিকল্প খেলোয়াড়ের অভাবেই খেলে যাচ্ছেন পাকিস্তান জাতীয় দলে।
সবথেকে বড় ধাক্কা সম্ভবত পড়তে যাচ্ছে ইমাদ ওয়াসিমের উপরে। পিসিবির আভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার। গত বছরেই অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন ইমাদ। ঘোষণা দিয়েছিলেন পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জেতানোর। কিন্তু বিশ্বকাপের বিশ্বমঞ্চে দলীয় পারফর্ম্যান্সের মতই শোচনীয় ছিল ইমাদের ব্যক্তিগত ফর্মও।
তবে, ইমাদ ওয়াসিমের বিরুদ্ধে সবথেকে বড় অভিযোগ, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে তার উপস্থিতি। ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনায় পিসিবি প্রথমেই বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমন সব চরিত্র। কেবলমাত্র পারফর্ম্যান্সই নয়, কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়দের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে ভূমিকা রাখছে ফিটনেস এবং শৃঙ্খলার মত বিষয়গুলোও।
আসন্ন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কমছে খেলোয়াড়ের সংখ্যা, রয়েছে ‘ডি’ ক্যাটেগরি বাদ দেয়ার সম্ভাবনাও। তবে চুক্তিতে কোন খেলোয়াড়ের অবনমন ঘটলেও, তার প্রভাব থাকবে না বেতনের ক্ষেত্রে। পূর্ব নির্ধারিত বেতন কাঠামোই উপভোগ করতে পারবেন শাদাব খানরা।