টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ওয়ানডে দলে জায়গা পান না!

কি ধরণের বিকল্প তৈরি থাকলে এক ফরম্যাটের অধিনায়ক অন্য ফরম্যাটে সুযোগ পান না? এখানেই সম্ভবত ভারতের সমৃদ্ধ ক্রিকেট কাঠামো বারবার প্রশংসার দাবিদার। সুরিয়াকুমার যাদব টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নয়া অধিনায়ক। তাকে ছাড়াই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামবে ভারত। উপমহাদেশে এমন দৃষ্টান্ত খুব একটা নেই বললেই চলে।

কিন্তু প্রশ্ন জাগ্রত হয় নিশ্চয়ই। সুরিয়া কি ওয়ানডে দলে সুযোগ পাওয়ার দাবি রাখেন? এর স্বপক্ষে বরাবরই প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে তার টি-টোয়েন্টি পারফরমেন্স। বরাবরই টি-টোয়েন্টি-তে দারুণ পারফর্ম করতে দেখা যায় সুরিয়াকে। বিধ্বংসী ব্যাটিং করে তিনি দলের জয়ের রাখেন অবদান। সর্বশেষ সিরিজে তো কার্যকর স্পিনার হিসেবেও আবির্ভাব হয়েছে তার।

তাই তো আবারও তাকে ওয়ানডে দলে অন্তর্ভুক্ত করার একটা দাবি উঠতেই পারে। কিন্তু তাতে বাঁধার কারণ হয়ে দাঁড়ায় আবার তার ওয়ানডে পারফরমেন্স। কেমন একটা ভিন্ন চরিত্রের দেখা মেলে। যেখানে তিনি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ব্যাটিং করেন ১৬৮ স্ট্রাইক রেটে, সেখানে ওয়ানডেতে তার স্ট্রাইক রেট মাত্র ১০৫। তাছাড়া ওয়ানডে ফরম্যাটে বলার মত তেমন কোন ইনিংস নেই।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাইশ গজে আসা মাত্রই মনে হয় যে তিনি ড্রেসিং রুম থেকেই প্রস্তুত হয়ে আসেন। উইকেটে নেমেই বাহারি সব শটের পসরা সাজিয়ে বসেন। কিন্তু ওয়ানডেতে পুরো ভিন্ন চিত্র। সে কারণেও হয়ত তাকে অন্তর্ভূক্ত করা হয় নাই ওয়ানডে স্কোয়াডে।

তাছাড়া ভারত দলে খেলোয়াড়দের অভাব একেবারে নেই বললেই চলে। অনায়াসে সুরিয়াকুমারের বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন শ্রেয়াস আইয়ার রয়েছেন ওয়ানডে দলে। সুরিয়ার মত প্রায় একই রোল থাকে তার। মিডল অর্ডারের দায়িত্বভার কাঁধে নেওয়া, সেই সাথে দ্রুত রান তোলার কাজটা শ্রেয়াস অনায়াসে করতে পারেন।

এছাড়াও যথেষ্ট বিকল্প রয়েছে ভারত দলে। তাইতো সুরিয়াকে এই মুহূর্তে ওয়ানডে দলে অন্তর্ভুক্ত করবার বিশেষ কারণ নেই ভারতের সামনে। এই বিষয়টি বরং অন্যদের জন্য অনুকরণীয়। নিজেদের ক্রিকেট কাঠামোর উন্নতি করা, সঠিক ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনায় এগিয়ে যাওয়া যে কতটা ফলপ্রসূ- সে প্রমাণই রাখছে ভারত ক্রিকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link