আড়ালে থাকা তারকার নীরব প্রস্থান

সেরা ইংলিশ ব্যাটার বললে আপনি হয়তো চট করে অ্যালিস্টার কুকের নাম বলবেন; এর আগের প্রজন্ম হলে গ্রাহাম গুচ বা ডেভিড গোয়ারের নাম বলতে পারেন। এদের মতই একজন গ্রাহাম থর্প, ব্যাট হাতে জাদু দেখাতেন যিনি। তবে তাঁকে নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয় না, খুব বেশি মানুষ তাঁর নামও হয়তো মনে রাখেনি।

এবার অবশ্য অনেকদিন পর খবরের শিরোনাম হলেন এই ইংলিশম্যান। পাঁচ আগস্ট পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেলেন তিনি, মাত্র ৫৫ বছর বয়সেই ইতি ঘটলো তাঁর জীবনের। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।

১৯৬৯ সালের এই আগস্ট মাসেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন থর্প; বড় হতে হতে ক্রিকেটের সাথে সখ্যতা গাঢ় হয় তাঁর। এরপর ১৯৮৮ সালে সারে ক্রিকেট ক্লাবসের হয়ে শুরু হয় পেশাদার ক্রিকেট জীবন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্লাবটির হয়ে তিনি যা করেছেন সেটা অবিশ্বাস্য, তাই তো তাঁকে শেষ বিদায় দিতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়েছে ম্যানেজম্যান্ট।

সারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গ্রাহাম সারের অন্যতম সেরা সন্তান, ওভালের গেট দিয়ে সে আর হাঁটবে না এটা ভাবতেই হৃদয় ভেঙে যায়। সে নি:সন্দেহে এই ক্লাবের কিংবদন্তি, থ্রি ফিদার্সের জার্সি গায়ে ক্লাবের জন্য অনন্য সম্মান বয়ে এনেছিল।’

জাতীয় দলেও এই বাঁ-হাতি প্রতিভার ছাপ রেখেছেন; ১৯৯৩ সালে ক্রিকেটের দুই ফরম্যাটেই ইংল্যান্ড জাতীয় দলে সুযোগ পান তিনি। এরপর কেবল রান করে গিয়েছেন শৈল্পিক গতিতে। সব মিলিয়ে ১০০ টেস্ট খেলে তাঁর মোট সংগ্রহ ৬৭৪৪ রান; আর ওয়ানডেতে ৮২ ম্যাচ খেলে করেছেন ২৩৮০ রান।

মাঝে ১৯৯৭ সালে উইজডেনের ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার হয়েছিলেন এই প্রয়াত তারকা। এছাড়া অধিনায়ক ও কোচ হিসেবে ইংলিশ ক্রিকেটে ব্যাপক সাহায্য করেছেন তিনি – ক্রিকেটীয় বিচারে বড় কোন অর্জন না থাকলেও সে সময়কার দর্শকদের হৃদয় জিততে কোন ভুল হয়নি তাঁর।

গ্রাহাম থর্পের জীবনের সঙ্গে বাংলাদেশের নামটাও মিশে আছে ঘনিষ্ঠভাবে; বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের শততম এবং একই সাথে শেষ টেস্ট ম্যাচটা তিনি বাংলাদেশ দলের বিপক্ষেই খেলেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link