আভিষ্কার দারুণ গল্পের আক্ষেপময় সমাপ্তি

মাঠের মাঝ খানের ওই বাইশ গজ থেকে ড্রেসিংরুমের দূরত্ব ঠিক কতখানি – কে কি উত্তর দিবেন জানা নেই। তবে আভিষ্কা ফার্নান্দো নিশ্চয়ই স্বর্গের দিকে এক নজর তাকিয়ে বলবেন অনন্তকাল। কেননা সেঞ্চুরি থেকে ইঞ্চি খানেক দূরে থেমে গেলে বুক যেমন ভারী হয়ে ওঠে সেই ভার নিয়ে অতটুকু পথ পাড়ি দিতে অনন্তকালই মনে হয়।

ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ড্র আর দ্বিতীয় ম্যাচ জেতার পর শ্রীলঙ্কা শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছিল সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে। আর এই লক্ষ্য অর্জনের দৌড়ে দলকে সবচেয়ে এগিয়ে দিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত মাইলফলক ছুঁতে না পারার আক্ষেপ থাকবে ঠিকই তবে ড্রেসিংরুমের প্রশংসা সেই আক্ষেপ খানিকটা হলেও প্রশমিত করবে।

এই ওপেনার এদিন ১০২ বল খেলে করেছেন ৯৬ রান, নয় চার ও দুই ছয়ে সাজানো ইনিংসটিতে স্ট্রাইক রেট প্রায় ৯৫। তাঁর এমন পারফরম্যান্সের কারণেই পাথুম নিশাঙ্কার ধীর গতির ব্যাটিংয়ের নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পেরেছিল লঙ্কানরা।

প্রথমে অবশ্য এই ডান-হাতি রয়ে সয়ে খেলেছিলেন; কিন্তু সময় গড়াতেই রান তোলার গতি বাড়ান দারুণ ভাবে। ভারতীয় স্পিনারদের বিপক্ষে বেশ সাবলীল ছিলেন তিনি; তবে তাঁর আগ্রাসন পুরোপুরি দেখা যায় হাফ-সেঞ্চুরির পর, মোহাম্মদ সিরাজের এক ওভারেই জোড়া ছক্কা আর এক চার আদায় করেন।

শেষমেশ আনকোরা রিয়ান পরাগের লেগ স্পিন বুঝতে না পেরে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন আভিষ্কা; ফলে তিন অঙ্কের ঘরে প্রবেশের একটু আগে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাঁকে।

বিধ্বংসী স্টাইলে বড় ইনিংস খেলার জন্য এই তারকাকে দেখা হয় আলাদা চোখে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেটার প্রতিফলন না ঘটলেও ৪০ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নব্বইয়ের বেশি স্ট্রাইক রেট নি:সন্দেহে ঈর্ষা করার মত। তবে ধারাবাহিকতার সমস্যা বরাবরই ভুগিয়েছে তাঁকে, ক্রিকেট জীবনের এ পর্যায়ে এসে অন্তত এ সমস্যার সমাধান করা উচিত তাঁর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link