আফিফ অধ্যায়ের ইতি ঘটতে যাচ্ছে?

আফিফ হোসেন ধ্রুব – সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে এসেছেন এমন ক্রিকেটারদের একজন তিনি। কিন্তু সব সম্ভাবনা এখনো খোলস বন্দী; ২০১৮ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হলেও হাতে গোনা দুই চারটি সাফল্যের মুহূর্ত ছাড়া আর কিছুই নেই আর। তাঁকে বারবার ব্যর্থ হতেই দেখেছে সমর্থেকরা।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অবশ্য সুযোগ দিতে কার্পণ্য করছে না। হাইপারফরমেন্স ইউনিট, বাংলা টাইগার্স কিংবা এ দলের আবরণে এই বাঁ-হাতিকে খেলার সুযোগ ঠিকই করে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রতিবারই সুযোগ হেলায় হারাচ্ছেন তিনি।

সেটারই আরেক জলজ্যান্ত উদাহরণ চলতি টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আকবর আলীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এইচপি দল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অজি ক্লাব ও পাকিস্তান শাহীনসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলছে। আর সেখানে পর পর তিন ম্যাচ খেলে পুরাদস্তুর ফ্লপ আফিফ, অথচ তারুণ্য নির্ভর দলটাতে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তাঁরই।

প্রথম ম্যাচে মেলবোর্ন রেনিগেডসের বিপক্ষে কোন রান না করেই প্রথম বলে আউট হয়েছিলেন এই ব্যাটার, দ্বিতীয় ম্যাচে দুই চার হাঁকিয়ে ভাল কিছুর ইঙ্গিত দিলেও দশ রানের বেশি করতে পারেননি। সবশেষ অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ম্যাচে ছয় বলে দুই রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি – সবমিলিয়ে ব্যর্থতার এক শৈল্পিক প্রদর্শনী যেন।

ঘরোয়া ক্রিকেটেও সাম্প্রতিক কোন সুখবর নেই এই তারকাকে নিয়ে; অর্থাৎ তিনি নিজেই যেন নিজের জাতীয় দলে ফেরার রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছেন। যদিও তাঁর উপর বিসিবির বিনিয়োগ কিংবা দর্শকদের প্রত্যাশার কোন কমতি নেই।

লাল-সবুজ জার্সিতে ধ্রুব তারা হবেন ধ্রুব এমনটাই কথা ছিল, কিন্তু এখন উল্টো প্রশ্ন উঠেছে তাঁর পতন নিয়ে। একশ ম্যাচের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়েই কি ইতি ঘটবে আফিফ অধ্যায়ের? উত্তর এখনো ঝুলে আছে হ্যাঁ আর না এর মাঝামাঝিতে। তবে এমন বিপর্যস্ত অবস্থা চলমান থাকলে উত্তরটা হ্যাঁ হতে বেশি বাকি নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link