Social Media

Light
Dark

ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে হার অবিশ্বাস্য ঠেকছে!

বিস্মিত নাকি বিষণ্ণ - পাকিস্তানের ক্রিকেটাঙ্গনকে এখন বোধহয় ঠিকঠাক চেনা যাচ্ছে না। রাওয়ালপিন্ডিতে চার পেসারের চতুর্মুখী আক্রমণে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিবে এমন স্বপ্নই দেখেছিল তাঁরা। অথচ হলো ঠিক উল্টো।

বিস্মিত নাকি বিষণ্ণ – পাকিস্তানের ক্রিকেটাঙ্গনকে এখন বোধহয় ঠিকঠাক চেনা যাচ্ছে না। রাওয়ালপিন্ডিতে চার পেসারের চতুর্মুখী আক্রমণে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিবে এমন স্বপ্নই দেখেছিল তাঁরা। অথচ হলো ঠিক উল্টো, নিজেরা দশ উইকেটে হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে। টাইগারদের বিপক্ষে এমন বিব্রতকর পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে।

বাদ যাননি সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজাও, নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দলের পরিকল্পনা আর খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ঝেড়েছেন। শান মাসুদের প্রতি বিতৃষ্ণাও ছিল তাঁর কণ্ঠে।

তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়াতে মানিয়ে নেয়া কঠিন, পাকিস্তান দল সেখানে সিরিজ হেরেছে মানলাম সেটা। কিন্তু এখন তোমরা ঘরের মাঠে বাংলাদেশের মত দলের কাছে হেরে বসেছো। কারণ তোমরা ঠিক মত উইকেট বুঝতে পারোনি।’

সাবেক এই অধিনায়ক আরো বলেন, ‘ব্যাটাররা তো ঠিকঠাক মত ব্যাটিং করতেই পারেনি, আর বোলাররা ছিল হতশ্রী। মাসুদের নিজের এখন উন্নতি করা দরকার, তাঁর মধ্যে আদৌ ক্রিকেটের জ্ঞান আছে কি না সেটা দেখানো দরকার।’

ম্যাচের অনেক আগেই একাদশ প্রকাশ করেছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট, কোন স্পিনার না রেখেই বোলিং লাইন আপ সাজিয়েছিল তাঁরা। আর সেটাই শেষমেশ বুমেরাং হয়েছে। এই ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘একাদশ নির্বাচনেই ভুল হয়েছে, কোন স্পিনার ছাড়াই আপনারা একাদশ তৈরি করেছেন। আবার যেই সুনামের ওপর ভিত্তি করে পেসারদের ওপর এত ভরসা করছেন সেটা অনেক আগেই শেষ।’

এ সময় পাক পেসারদের বাংলাদেশি পেসারের সঙ্গে তুলনা করে রমিজ রাজা বলেন, ‘তাঁদের বলে গতি কমে গিয়েছে, বোলিংয়ে কোন নতুনত্ব নেই। বাংলাদেশের পেসাররা অনেক বেশি তীক্ষ্ণ ছিল আর আমাদের বোলাররা উইকেটে নাটক করছিল। তাঁরা যেখানে এক্সপেস পেসে বল করেছে, সেখানে এরা ঘন্টায় মাত্র ১২৫ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার গতিতে বল করেছে।’

Share via
Copy link