Social Media

Light
Dark

শর্ট বল নীল নকশার ‘বাংলাদেশি’ জবাব

বাংলাদেশ শর্ট বলের পাল্টা জবাব দিয়েছে। লিটন দাস তো রীতিমত শটের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন। খুররাম শেহজাদের বিপক্ষে একাধিক ছক্কা হাঁকান তিনি। সেদিক থেকে মিরাজ একটু রয়ে সয়েই খেলছিলেন।

মোটামুটি পেস বান্ধব উইকেট, সেখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একে একে শর্ট বল ধেয়ে আসবে – সেটা অনুমিতই ছিল। যদিও, সেই কৌশলটা বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতে কাজে লাগাতেই হয়নি পাকিস্তানের। আর যখন হয়েছে, তখন সেটা ভালভাবেই সামলে দিয়েছেন বাংলাদেশের লোয়ার মিডল অর্ডার।

আরও ভেঙে বললে সেই কাজটা করেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সপ্তম উইকেট জুটিতে এই দু’জন মিলে যোগ করেন ১৬৫ রান। রেকর্ড গড়ার সাথে সাথে এই দু’জন মিলে শর্ট বলের জুজুও ভেঙে দেন।

পাকিস্তানের পরিকল্পনা ছিল পরিস্কার – অন্য কোনো কৌশল যখন কাজে আসছে না – তখন শর্ট বল দিয়ে লিটন-মিরাজের মনোবল ভাঙতে মরিয়া ছিল বাংলাদেশ দল। আর এই নীল নকশায় পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেয় খুররাম শেহজাদ।

বাংলাদেশ শর্ট বলের পাল্টা জবাব দিয়েছে। লিটন দাস তো রীতিমত শটের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন। খুররাম শেহজাদের বিপক্ষে একাধিক ছক্কা হাঁকান তিনি। সেদিক থেকে মিরাজ একটু রয়ে সয়েই খেলছিলেন।

তবে, একটা সময় খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন মিরাজ। শেহজাদের পরপর দুই বলে তিনি এক চার আর এক ছক্কা হাঁকান। একই ওভারে লিটনের ব্যাট থেকেও আসে ছক্কা। কাটা দিয়ে কাটা তোলার কাজটা এই দুই বাংলাদেশি ব্যাটার দারুণ ভাবেই করতে পেরেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাকফুটেই চলে গিয়েছিল। বিনা উইকেটে ১৪ রান থেকে ২৬ রানে নেই প্রথম ছয় জন ব্যাটার। মানে, মাত্র ১০ রানেই ছয় উইকেট নেই বাংলাদেশের। টেস্টে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর ৪৩। ততটুকুতে যেতে পারবে কি না বাংলাদেশ – সে নিয়েও উঠেছিল শঙ্কা। তবে, ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভাব হয় লিটন-মিরাজের।

Share via
Copy link