পাকিস্তান সিরিজ আর ভারত সিরিজের মাঝের সময়টা একেবারে কম, তবু সাকিব আল হাসানকে দলে নেয়ার লোভ সামলাতে পারেনি কাউন্টি দল সারে। অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে অন্তত পাঁচ-ছয় ম্যাচের জন্য চুক্তি করা হলেও তাঁকে এক ম্যাচের জন্য স্কোয়াডে নিয়েছিল দলটি – আর সেই আস্থার প্রতিদান দু’হাত ভরে দিলেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে চার উইকেট শিকারের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও উইকেটখেকো রূপে আবির্ভূত হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। প্রায় একা হাতেই সমারসেটের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দিয়েছেন তিনি – নাকানিচুবানি খাইয়েছেন বাঘা বাঘা ব্যাটারদের।
পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে মি.সেভেনটি ফাইভ এই নিয়ে ৭৪ বারের মত এক ইনিংসে চার বা এর চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন। মাঝের সময়টাতে তিনি বোধহয় ভুলে গিয়েছিলেন তাঁকে ক্রিকেটের বিস্ময়কর সব পরিসংখ্যানেই সবচেয়ে বেশি মানায়; তবে সাম্প্রতিককালে আবারও পুরনো মুখোশে ফিরতে শুরু করেছেন তিনি।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারেই তাণ্ডবের শুরু, ওপেনার আর্চি ভনকে বোল্ড করে উইকেটের খাতা খোলেন এই বাঁ-হাতি। খানিক পরে টম অ্যাবেলকে এলবিডব্লুর ফাঁদে আটকে ফেলেন তিনি। ৩৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে তখন সমারসেটের করুণ অবস্থা, মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা কিছুটা প্রতিরোধ করেছিলেন বটে, কিন্তু সেটাও পুরোপুরি সফল হয়নি।
এর কারণও সাকিব, তাঁর টানা দুই ওভারে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক লুইস গ্রেগরি আর সেট ব্যাটার জেমস রিউ প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। তাতেই ১১০/৫ থেকে ১১৭/৭ এ পরিণত হয় স্কোরবোর্ড আর সমারসেটের বড় রানের স্বপ্ন মিশে যায় মাটিতে। সবমিলিয়ে তৃতীয় দিন শেষে তাঁর বোলিং ফিগার এমন ২৫-১-৮৩-৪!
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৩.৫ ওভার বল করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছিলেন টাইগার তারকা। তিনের কম ইকোনমিতে শিকার করেছিলেন চার উইকেট। দুই ইনিংসেই তাঁর বোলিংয়ে ছিল ‘পারফেকশন’; নিখুঁত পরিকল্পনা, ম্যাচ আপ, ভ্যারিয়েশন আর তীক্ষ্ণ বুদ্ধির চাল – তিনি আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন বোলিংকে নিজের ‘ন্যাচারাল ট্যালেন্ট’ মনে করেন।