বলটা লুফে নিয়েই হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলেন এডারসন ময়েসেস, উদ্দেশ্য একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নরওয়ে তরুণ – উদ্দেশ্য পূরণ হতেই সেই তরুণ ছুটেছেন প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের দিকে, এরপরই গোল।
মৌসুমের প্রথম অ্যাসিস্টের দেখা পেলেন ম্যানচেস্টার সিটির গোলরক্ষক, সেই সাথে দলকে লিড এনে দিলেন। নরওয়ের তরুণের নাম অবশ্য এতক্ষণে বুঝে ফেলার কথা, আর্লিং হাল্যান্ডের পরিচয় কি আর সরাসরি দিতে হয়?
গোলের জন্য অবিশ্বাস্য ক্ষুধার জন্য তাঁর খ্যাতি আকাশ ছুঁয়েছে। ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও তাঁকে সেই চিরচেনা হিংস্র রূপেই দেখা গিয়েছে।
এদিন কেবল এডারসনের অ্যাসিস্ট থেকেই গোল করেননি এই স্ট্রাইকার। ম্যাচের ১৯ মিনিটের মাথায় জালের দেখা পেয়েছিলেন তিনি; হ্যাটট্রিকের দেখাও পেতে পারতেন, তবে গোলবারের বাঁধায় সেটা সম্ভব হয়নি।
ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে এই নিয়ে চারবারের দেখায় তিন গোল হলো তাঁর। সবমিলিয়ে এবারের আসরে গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয়টিতে। অথচ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার ক্ষেত্রে সংখ্যাটা মাত্র তিন – ব্যবধানটা অতিমানবীয় বটে।
ম্যানসিটি বনাম ব্রেন্টফোর্ড ম্যাচের শুরুটা অবশ্য এত মধুর ছিল না, সিটির ডিফেন্ডাররা সতর্ক হওয়ার আগেই উড়ে আসেন ইয়ন বিসসা। ঠাণ্ডা মাথায় হেড দিয়ে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি, যদিও এরপর আর দাপট দেখানো তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
ম্যাচের বাকিটা সময় জুড়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরাই আক্রমণাত্মক ছিল, সব মিলিয়ে প্রতিপক্ষের গোলমুখে ১৮টি শট নিয়েছে তাঁরা। যদিও প্রায় প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে তাঁদের প্রচেষ্টা, বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে দলটির ফরোয়ার্ড লাইন অনেকটাই নখদন্তহীন হয়ে পড়েছিল।
তবু দিনশেষে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়ে তাঁরা। এখন পর্যন্ত লিগে চার ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা, লিগে একমাত্র তাঁরাই সব ম্যাচে পূর্ণ পয়েন্ট পেয়েছে।
এসময় মোট গোল করেছে ১১টি আর হজম করেছে মাত্র তিনটি – কতটা আধিপত্য দেখাতে পারছে তাঁরা সেটা তাই স্পষ্ট। কেবল হাল্যান্ড নন, অভিজ্ঞ ডি ব্রুইনা থেকে শুরু করে নিউ সাইনিং স্যাভিনহো প্রত্যেকেই আলো ছড়াচ্ছেন বটে।