৩৬ রানে অলআউট হওয়ার পর কি বলেছিলেন শাস্ত্রী?

এ ব্যাপারে অশ্বিন বলেন, ‘রবি ভাই অ্যাডিলেড টেস্টের পরে একবার টিম ডিনার আয়োজন করেন। তিনি একটা গানের উৎসবের ব্যবস্থাও করেছিলেন, এরপর নিজেই গান গাইতে শুরু করেন। পুরনো হিন্দি গান গেয়েছিলেন, বাকিরাও তাঁর সাথে যোগ দিয়েছিল পরে।’

৪, ৯, ২, ০, ৪, ০, ৮, ৪, ০, ৪, ১ – এগারো ডিজিটের কোন মোবাইল নম্বর ভেবে ভুল করবেন না; ২০২০ সালে অ্যাডিলেড টেস্টে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের স্কোরবোর্ড এটি। এগারোজন ব্যাটারের কেউই সেদিন দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছুতে পারেননি, আর পুরো দল অলআউট হয়েছে স্রেফ ৩৬ রানে – দেশটির টেস্ট ইতিহাসে এটিই সর্বনিন্ম রানের রেকর্ড!

সে সময় ড্রেসিংরুমে কতটা বিধ্বস্ত অবস্থায় ছিলেন ক্রিকেটাররা তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তাঁরা – তবে ঠিক কি ঘটেছিল সেটা এবার সরাসরি জানালেন রবিচন্দন অশ্বিন। একটি ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলতে গিয়ে তিনি প্রকাশ করেন অ্যাডিলেড দুঃস্বপ্নের বর্ণনা।

এই অফ স্পিনার বলেন, ‘আমরা মাত্র ৩৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিলাম, এরপর সিরিজ জয়ের কথা কেউ কল্পনাতেও আনতে পারছিলো না। স্বাভাবিকভাবেই ড্রেসিংরুমে সব মন অনেক খারাপ ছিল।’

তবে সেই সিরিজে ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি প্রথম সন্তানের আগমন উপলক্ষে ছুটি নেয়ায় আজিঙ্কা রাহানে দায়িত্ব নেন। তাঁর অধীনেই বিস্ময়ের জন্ম দেয় ভারত; ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় সিরিজ। ক্রিকেটারদের পুনরায় লড়াইয়ের জ্বালানি সরবরাহের কাজটা করেছেন তৎকালীন হেড কোচ রবি শাস্ত্রী নিজেই।

এ ব্যাপারে অশ্বিন বলেন, ‘রবি ভাই অ্যাডিলেড টেস্টের পরে একবার টিম ডিনার আয়োজন করেন। তিনি একটা গানের উৎসবের ব্যবস্থাও করেছিলেন, এরপর নিজেই গান গাইতে শুরু করেন। পুরনো হিন্দি গান গেয়েছিলেন, বাকিরাও তাঁর সাথে যোগ দিয়েছিল পরে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম, ভিরাটও দেশে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিল। আমরা তখন মেলবোর্ন টেস্টের দিকে মনোযোগ দিই, ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করে আগাবো এমন পরিকল্পনা করেছিলাম।’

Share via
Copy link