টেস্ট ক্যারিয়ারে যশস্বী জয়সওয়ালের শুরুটা হয়েছিল স্বপ্নের মত, এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে রান করে চলছেন। সবশেষ ইংল্যান্ড সিরিজে মোট ৭১২ রান করেছেন তিনি, ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজেও তাঁর উপর প্রত্যাশার চাপ একটু বেশি। সেই চাপেই বোধহয় অনুশীলনে খানিকটা নড়বড়ে মনে হয়েছে।
এই বাঁ-হাতি যখন ব্যাট করছিলেন তখন বোলিংয়ে বর্তমান বিশ্বের সেরাদের একজন জাসপ্রিত বুমরাহ। তবু বুমরাহর কাছে পরাস্ত হওয়া মেনে নিতে পারেননি তিনি, ব্যাট আর প্যাডের ফাঁক গলে যখন বোল্ড হয়েছেন তখন তাঁর চোখেমুখে দেখা দিয়েছিল তীব্র হতাশা।
খুব কাছ থেকেই সেটা লক্ষ্য করেছিলেন বিরাট কোহলি, তাই তো অনুজকে সাথে সাথে ডেকেছেন নিজের কাছে। কিছুক্ষণ কথা বলেছেন, হয়তো বুঝিয়ে বলেছেন হতাশ না হয়ে আরও মনোযোগী হতে। তবে তাঁর টোটকাতে তাৎক্ষণিক লাভ হয়নি, বুমরাহর বিপক্ষে জয়সওয়াল অস্বস্তিতেই ছিলেন প্রায় পুরোটা সময়।
শুধু তাই নয়, মোহাম্মদ সিরাজ কিংবা জম্মু কাশ্মীরের নেট বোলার যুধবীর সিংয়ের বিপক্ষেও স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করতে পারেননি এই ওপেনার। এছাড়া এক সপ্তাহ আগে দুলীপ ট্রফিতে আকাশ দীপ একাধিকবার পরাস্ত করেছিলেন তাঁকে। অর্থাৎ পেসারদের বিপক্ষে তাঁর বর্তমান দুর্বলতা স্পষ্ট।
আরও বড় ব্যাপার হল, প্রতিপক্ষ দলেই আছে নাহিদ রানার মত ফাস্ট বোলার। যিনি ঘণ্টায় ১৪০-৫০ গতির বল ছোঁড়েন, এখন এই অবস্থায় রানার বল আদৌ জয়সওয়াল চোখে দেখবেন কি না – সেটা একটা বড় প্রশ্নই বটে।
তাই তো বিরাট কোহলির পর গৌতম গম্ভীর নিজেই এগিয়ে আসেন শিষ্যের দুরবস্থা কাটাতে। আলাদা নেটে এই তরুণকে ডেকে নিয়েছেন তিনি, তারপর থ্রোয়ার দিয়ে বল করেছেন একটানা অনেকক্ষণ। এ সময় বলের লাইনে গিয়ে খেলার দিকে বেশি মনোযোগ দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
যদিও ইনফর্ম এই তারকা স্পিনারদের বিপক্ষে ঠিকই আধিপত্য দেখিয়েছেন। তাই তো লিটন-রানাদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আপাতত নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন তিনি, কেননা চেন্নাইয়র চিপাক স্টেডিয়ামে স্পিন বান্ধব উইকেট হওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। সেক্ষেত্রে সাকিব, মিরাজরাই হবেন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।