কুলদ্বীপের কূল-কিনারা নেই বাংলাদেশের

কুলদ্বীপ যাদব তাই লণ্ডভণ্ড করে দিতে পারে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারকে। কখনোই যে বাংলাদেশের বিপক্ষে খালি হাতে ফিরতে হয়নি কুলদ্বীপকে। 

‘চায়নাম্যান’ বেশ বিরল এক প্রজাতি। এই ধরণের বোলারদের সচরাচর দেখা পাওয়া যায় না। আর তাই তো বাংলাদেশী ব্যাটারদের চায়নাম্যান বোলারদের বিপক্ষে খেলার খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই। কুলদ্বীপ যাদব তাই লণ্ডভণ্ড করে দিতে পারে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারকে। কখনোই যে বাংলাদেশের বিপক্ষে খালি হাতে ফিরতে হয়নি কুলদ্বীপকে।

এই তো সেদিন রিশাদ হোসেনের উত্থানে, বাংলাদেশ যেন একটু স্বস্তি পেল। অন্তত একজন কার্যকর লেগস্পিনার পাওয়া গেছে। নেট অনুশীলনে রিশাদের বিপক্ষে ব্যাটও করেছেন জাতীয় দলের ব্যাটাররা। রিশাদ ছাড়াও ওয়াসি সিদ্দিকি কিংবা একেবারেই তরুণ শাইখ ইমতিয়াজ শিহাবরা সহয়তা করেছেন ব্যাটারদের।

কিন্তু চায়নাম্যান বোলারদের বিপক্ষে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা একেবারে শূন্যের কাছাকাছি। কুলদ্বীপ একটি মাত্র টেস্ট খেলেছেন টাইগারদের বিপক্ষে। চট্টগ্রামে হওয়া সেই টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে আটটি উইকেট বাগিয়েছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে তো একাই নিয়েছিলেন পাঁচটি উইকেট।

তার শিকারের তালিকায় ছিলেন অভিজ্ঞতার বিচারে বাংলাদেশের দুই সেরা ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। সাকিবকে তো দ্বিতীয় ইনিংসেও নিজের শিকারে পরিণত করেছিলেন বাঁ-হাতি এই রিস্ট স্পিনার। এছাড়া সেই ইনিংসে লিটন দাসও কুলদ্বীপের উইকেটে পরিণত হয়েছেন।

এই ছোট্ট পরিসংখ্যানই বলে দেয়, বাংলাদেশের ব্যাটারদের টুঁটি চেপে ধরতে ঠিক কতটা পটু কুলদ্বীপ। সেক্ষেত্রে বেছে বেছে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটারদের উইকেটের দিকেই থাকে তার বাড়তি নজর। চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে সেই একই পন্থা অবলম্বন করতে হয়ত চাইবেন কুলদ্বীপ।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সাদা বলেও কুলদ্বীপের সফলতা রয়েছে। সাদা বলেও সাকিব কুলদ্বীপের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন, তাও ভিন্ন দুই ফরম্যাটেই। অন্যদিকে, ওয়ানডেতে লিটনকেও একদফা নিজের পকেটে পুরেছিলেন কুলদ্বীপ। সাকিবকেও তাই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত খানিক বেশি। তাই কুলদ্বীপ একাদশে থাকলে, বাংলাদেশের পরিকল্পনা কেমন হবে, সেটাও দেখবার বিষয়।

চিপকের স্টেডিয়ামে স্পিন ধরতে চলেছে বেশি, সেটা নিশ্চয়ই অজানা নয়। এমন উইকেটে কুলদ্বীপকে কেন্দ্র করে ভারত পরিকল্পনা সাজালে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। যদিও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মত অভিজ্ঞ স্পিনার টিম ইন্ডিয়ার স্কোয়াডে রয়েছে। এই দুইজনের উপর ভর করেই বাংলাদেশকে নাস্তানাবুদ করতে চাইবে রোহিত শর্মার দল।

Share via
Copy link