ইনজুরিতে জর্জরিত অস্ট্রেলিয়া শিবির, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে একের পর পেসার চোটে পড়ায় পেসার সংকটে পড়তে হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে। তাই তো জরুরি ভিত্তিতে দলে ডাকা হয়েছে উনিশ বছর বয়সী মাহলি বেয়ার্ডম্যানকে, আর একটা চোটের ঘটনা ঘটলেই অভিষেক হতে পারে তাঁর। অথচ এখনও প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেনন তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কে এই তরুণ, এই দুর্দিনে কেন ই বা তাঁর উপর ভরসা রেখেছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। সেসব উত্তর খুঁজতে ফিরে যেতে হবে কয়েক মাস পিছনে, বছরের শুরুর দিকে।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে একাই ধসিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সাত ওভার বল করে সেদিন মাত্র পনেরো রান খরচায় নিয়েছিলেন তিন উইকেট। তাঁকেই নির্বাচিত করা হয়েছিল প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল হিসেবে, এছাড়া পুরো টুর্নামেন্টে ১০.৫০ গড়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন – সেখান থেকেই মূলত পরিচিতি।
আগের বছরের নভেম্বরে অবশ্য লিস্ট এ ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে বেয়ার্ডম্যানের, নিউ সাউথ ওয়্যালসের বিপক্ষে সে ম্যাচে ৪১ রানের বিনিময়ে পেয়েছিলেন এক উইকেট। এখন পর্যন্ত সিনিয়র লেভেলে এতটুকুই অভিজ্ঞতা তাঁর, আর এটি সঙ্গী করেই তিনি উড়ে এসেছেন ইংলিশ রাজ্যে। আপাতত অবশ্য কাজটা অপেক্ষার, সুযোগ মিললেও মিলতে পারে বটে।
ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে টানা বোলিং করার সামর্থ্য রয়েছে ছয় ফুট উচ্চতার এই পেসারের। নতুন বলে দু’দিকে সুইং করানোর প্রতিভাও আছে, আবার অজিদের সহজাত ভয়ানক বাউন্সার কিভাবে করতে হয় সেটাও জানেন তিনি।
মাত্র ১২ বছর বয়সেই সতীর্থরা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল কেন এতটা জোরে বল করেন; অবশ্য ছোটবেলা থেকেই যার আদর্শ মিচেল জনসন, যিনি বেড়ে উঠেছেন ডেনিস লিলির মত আগ্রাসী পেসারের অধীনে তিনি যে এক্সপ্রেস গতিতে ব্যাটারকে গুঁড়িয়ে দিতে চাইবেন সেটাই তো স্বাভাবিক – এখন কেবল সুযোগ পাওয়া বাকি, তারপরই পূর্ন মাত্রায় ফুল হয়ে ফুটবে সম্ভাবনাময়ী এই কলি।
এই উদীয়মান তারকার আগে অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে সবশেষ যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন জশ হ্যাজলউড। হ্যাজলউড এখন অজি পেস আক্রমণভাগের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তিন ফরম্যাটেই হ্যাজলউডের ধারাবাহিকতার প্রশংসা করতে বাধ্য যে কেউ। তিনিও কি সেই পথে হাঁটবেন? নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন জনসন, লিলিদের কাতারে – উত্তর সময়ই বলে দিবে।